বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ২৮শে আগস্ট, রবিবার একটি মেগা রবিবার বলে গণ্য হচ্ছে বাংলার ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। সন্ধ্যা ছটা থেকে যুবভারতীতে মুখোমুখি হবে বাংলার প্রাণাধিক প্রিয় ফুটবল ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান। তার দেড় ঘন্টা পরে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কারণে কোনো ভাবেই কমে যাচ্ছে না কলকাতার ক্রেজ। দুই বছরেরও বেশি সময় পর যুবভারতীতে দুই প্রধান একে অপরের মুখোমুখি হবে। স্টেডিয়াম সেদিন কানায় কানায় ভরে যাওয়ার আশঙ্কা।
আপাতত টিকিটের সন্ধানে মরিয়া দুই পক্ষেরই সমর্থকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল যে এই মেগা ম্যাচের জন্য ৬০,০০০ টিকিট বরাদ্দ করেছিল টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে ৩৮ হাজার টিকিট ২ প্রধানের তাঁবুতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাগ করে। কিন্তু তাতেও ভক্তদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিশৃংখলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আজ, শুক্রবার।
ইতিমধ্যে ম্যাচের আগে বিধান নগর পুলিশের ডিসি হেডকোয়ার্টার দেবস্মিতা দাস জানিয়েছেন যে ডার্বির দিন যুবভারতী স্টেডিয়াম ঘিরে মোতায়েন করা হবে প্রায় ২০০০ পুলিশ কর্মী । পাশাপাশি ম্যাচ টিকিটের কালোবাজারি আটকাতে স্টেডিয়ামের চারপাশে টহল দেবে বিধাননগর পুলিশের একটা অংশ। আগের মতোই বড় ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের জন্য কয়েকটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে বিধান নগর পুলিশ। দাহ্য সামগ্রী, জলের বোতল এবং টিফিনবক্সের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। তবে বৃষ্টি ও আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ছাতা নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি হয়তো মিললেও মিলতে পারে।
এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের একটা বড় অংশই ঠিক করেছিল যে তারা এই ডার্বি বয়কট করবে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গুজব উঠেছে। শোনা যাচ্ছে যে মোহনবাগানের আগে এটিকে নামটি উঠে যেতে পারে এই পুজোর আগে। তাই যারা বয়কট করবেন ভেবেছিলেন তাদের অনেকেই আবার ম্যাচের টিকিটের সন্ধান শুরু করেছেন। এটিকে মোহনবাগান এবং ইমাম ইস্টবেঙ্গল, দুই পক্ষই ডুরান্ডে দুটি ম্যাচ খেলে এখনো জয় পায়নি। রাজস্থান ইউনাইটেডের সঙ্গে ৩-২ ফলে হারার পর মুম্বাই সিটি এফসি সাথে ১-১ ফলে ড্র করেছে এটিকে মোহনবাগান। অপরদিকে ইন্ডিয়ান নেভি এবং রাজস্থান ইউনাইটেড দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই গোলশূন্য ড্র করেছে লাল-হলুদ ক্লাব। রবিবার তাই দুই পক্ষই জয়ের জন্য মরিয়া নামবে এবং তাতে ম্যাচ যে আরও হাড্ডাহাড্ডি হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে ম্যাচের আগে ও পরে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা থাকছে।
এই আশঙ্কা যে অমূলক নয় সেই প্রমাণ শুক্রবার থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। আজই টিকিট না পাওয়া নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় মোহনবাগান ভক্তদের মধ্যে। টিকিট না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করে তারা। ময়দান থানার পুলিশ এসে তাদেরকে মেরে সরিয়ে দেয়।