বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের বারবার আক্রমণ চলছে মন্দির এবং বিশেষত হিন্দু দেবদেবীদের উপর। কখনও দেবী দুর্গার মূর্তি ভাঙা কখনও আবার বজরংবলি এবং কুরআন নিয়ে বিতর্ক। ধর্মীয় হানাহানিতে যেন প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবারও পুনরাবৃত্তি হল এই ঘটনারই। আবারও ভাঙচুর চলল ঢাকার মন্দিরে। দুষ্কৃতিদের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ ভক্তও।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঢাকার ওয়ারীর রাধাকান্ত ইসকন মন্দিরে। রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয় মন্দিরে। মারধর করা হয় ভক্তদেরও। শেষমেষ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। অভিযোগ ওই মন্দিরের দখল নেওয়ার জন্যই এসেছিল দুষ্কৃতিরা।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ হঠাৎই মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ৮০ থেকে ৯০ জন লোক একটি বিশেষ ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে এসে ভাঙচুর এবং হামলা চালায়।’ জানা যাচ্ছে ওই সময় মন্দিরে ছিলেন ৩০-৪০ জন ভক্ত এবং পুরোহিতও। দুষ্কৃতিরা এসে এলোপাথারি হামলা চালাতে থাকে। বেধড়ক মারধর করা হয় ভক্তদের। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁরা।
এই ঘটনার পরই কার্যতই প্রতিবাদ করেন ভক্ত এবং পুরহিতরা। তাঁদের বিক্ষোভ এবং প্রতিনাদের মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় দুষ্কৃতিরা। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারপর রীতিমতো ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় ওই হামলাকারীদের। ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সেদেশের হিন্দুরা। বারবার কেন এভাবে আক্রমণ করা হবে কোনও ধর্মের উপর সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের দাবিও উঠেছে ঘটনাটিতে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই ব্যাপারে।