বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাস্তায় ফেলে মারা হচ্ছে এক বৃদ্ধকে। এমনকি ছিড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর পরনের শার্টটি। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুরে (Kharagpur)। এই ঘটনার ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল (Viral) সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনিল দাসকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকার তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী বেবি কোলে ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধ ।এমনকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে করা শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সকলেই। পাশাপাশি এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেত্রীকে শোকজ করেছে জেলা নেতৃত্ব।
খড়্গপুরের তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দলের (Kharagpur)
ভিডিওটিতে যে বৃদ্ধকে মারা হচ্ছে তিনি একজন বাম নেতা। আর যার নেতৃত্বে মারধর চলছে, তিনি সেই এলাকার তৃণমূল (TMC) নেত্রী বেবি কোলে। সোমবার সকালের খড়্গপুরের এই রূপ দৃশ্যে এলাকায় যথারীতি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি কেন এই অত্যাচার চালানো হলো সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সকলেই।
জানা যায়, সোমবার সকালে খড়্গপুরে ব্যস্ত রাস্তার ওপর সিপিএম প্রবীণ নেতাকে বেধড়ক মারধর করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বেবি কোলে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী দিবালোকে প্রকাশ্যে প্রাক্তন ওই সিপিএম নেতাকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড় এমনকি ঘুষি মারেন। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধ এই মারধরের হাত থেকে বাঁচার জন্য পাশের একটি রঙের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তার গায়ে রং ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরেই, বিকেল বেলায় তৃণমূলে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি সুজয় হাজরা অভিযুক্ত নেত্রী কে তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত ওই নেত্রীকে শোকজ করা হয়। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে খড়্গপুরে টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাম নেতা অনিল দাস।
আরো পড়ুন:ভারতকে এড়িয়ে পাক নায়িকার সঙ্গে অভিনয়, দিলজিতের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয়দেরই বিঁধলেন নাসিরউদ্দিন
তিনি জানান, ‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক মহিলার শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি বলেই আমার উপর হামলা হল।’ এমনকি এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এই ঘটনার পর শাসকদলকে বিঁধে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁর উপর এ ভাবে আক্রমণ হচ্ছে। চারদিকে এভাবেই ওরা বিরোধীদের মারছে।’ সুজন চক্রবর্তী আরও জানান, তৃণমূলের জামানায় আর কেউ সুরক্ষিত নেই।