বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয়, এবার তিলোত্তমা কলকাতার (Kolkata) বুকেই আক্রান্ত হল হিন্দুরা। শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রীট বাটার কাছে একটি জাগরণ অনুষ্ঠানে হামলা চালায় মুসলিমরা (Muslims Attack on Hindu Jagaran)। মারধর করা হয় সেখানে উপস্থিত হিন্দুদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই ঘটনার একটি ভিডিও। সেই ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ‘এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হল। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কী কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রেই চালানো হল এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো তিনি যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’
This is the law & order situation of Central Kolkata.
A 'Jagaran' has been vandalised by 'easily identifiable' miscreants with obvious motives, in the heart of Kolkata.@CPKolkata kindly take immediate action. Any inaction could be misconstrued as endorsement.@KolkataPolice pic.twitter.com/Fc19kz2422— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 19, 2023
কী দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওটিতে? এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চারিদিকে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া জুতো এবং লোকজনের চ্যাঁচামেচিতে প্রায় যুদ্ধে মতো পরিস্থিতি। কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি পাথর ছুঁড়তে দেখা গেল। ইতিমধ্যেই একজন বলছেন যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ওই ভিডিওর নিচে করা মানুষের কমেন্ট। গার্গী মুখোপাধ্যায় নামে এক টুইটার ইউজারকারি লেখেন, ‘মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে । উত্তরদিনাজপুর মালদা মুর্শিদাবাদ দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু,এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে আসাম উড়িষ্যা চলে যেতে হবে।’
নলিনী রঞ্জন মণ্ডল নামে অপর এক ব্যক্তি লেখেন, ‘পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারি হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশের থলেদার অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। আর বাংলার পুলিস তো তৃণোদলদাসে পরিণত,উচ্চ পর্যায়ের পুলিস আধিকারিকরা নেত্রীর হাতের পুতুল অতএব সুশাসন,নচেৎ নৈব নৈব চঃ!’