পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ছাছরো এলাকায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের মামলায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছে যে ১৫, ১৩, ১৩ এবং ১২ বছর বয়সী চারটি ছেলেই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। মন্দির থেকে অর্থ চুরির জন্য তারা এই অপরাধ করেছিল। লক্ষণীয় বিষয়, গতকাল সিন্ধু প্রদেশের ছাচরো শহরের মাতা দেওয়াল ভীতানী মন্দিরে গভীর রাতে আক্রমণ করা হয়েছিল। অপরাধীরা মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ করার সাথে সাথে সেখানের প্রতিমাগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল। মায়ের প্রতিমাতে কালো কালি পোতা হয়েছিল। বিষয়টি জোর ধরার পর সোমবার থানার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আহমেদের নির্দেশে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
তবে, সিন্ধুর সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হরিরাম কিশোরী লাল পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছিল। জানিয়ে দি যে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হামলার চিত্রগুলি টুইটারে বিখ্যাত সাংবাদিক নায়লা ইনায়েত শেয়ার করেছেন। ছবিগুলি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “সিন্ধুর আর একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙ্গচুর করা হলো। থারপারকার শিবিরে জনতা, মাতা রানীর ভাটিয়ানি মন্দিরে পবিত্র প্রতিমা এবং গ্রন্থগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ”
নায়লা তার টুইটার হ্যান্ডেলে ঘটনাস্থলের চারটি ছবিও শেয়ার করেছে। এতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে উপদ্রবীরা মাতরানির মূর্তিতে কালো রঙ লাগিয়ে দিয়েছে এবং এর পাশাপাশি ভাঙচুরও করা হয়েছে। এছাড়াও মন্দিরটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটি হিন্দু মন্দিরে ইসলামিক কট্টরপন্থীদের হামলা: প্রতিমা ভাঙচুর করে, মূর্তিতে কালি লাগায়, গ্রন্থগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
এখন অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ অভিযুক্তদের নাবালক বলে বাঁচানোর প্রয়াস করছে। দাবি করা হচ্ছে অভিযুক্তরা ১৫, ১৩, ১৩ এবং ১২ বছর বয়সী। তারা নাকি চুরি করার জন্য মন্দির ভাঙচুর চালিয়েছে।কিন্তু চুরি করতে গিয়ে দেবীর মূর্তিতে কেন কালি লাগানো হয়েছে তার উপর প্রশ্নঃ উঠেছে।