বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার নাগরাকাটা এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) উপর হামলা হয়। তাঁর নাক-মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। পাশে থাকা লোকজন রুমাল, গামছা, কোনও কিছু দিয়েই রক্ত বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই সময় সঙ্গে থাকা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও মার খেয়েছেন।
বিধায়কের (Khagen Murmu) উপর হামলার ঘটনায় জড়িত তৃণমূল, দাবি বিজেপির
বিধায়ক খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই উত্তরবঙ্গে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। বিজেপির দাবি, হামলায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই জড়িত। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের হাতে এখনও ধরা পড়েনি কেউ।
এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমাদের দলের সাংসদ ও বিধায়ক যখন দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁদের উপর হামলা হয়েছে, এটা খুবই নিন্দনীয়। এই ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার করুণ অবস্থা তুলে ধরে।” অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কারা এই কাজ করেছে। আজ বিকেলের মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আগামীকাল হাইকোর্টে যাব।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ আগে কী করবে? বন্যা সামলাবে না গ্রেপ্তার করবে? সময় দিতে হবে তো। আগে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করা বেশি দরকার।” তবে বিজেপি বলছে, সরকার রাজনৈতিক কারণে ঘটনাটিকে লঘু করে দেখছে।
নাগরাকাটার এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) ও শঙ্কর ঘোষের উপর প্রকাশ্যে হামলার পরও গ্রেপ্তারি না হওয়ায় বিজেপির ক্ষোভ বাড়ছে। এখন প্রশ্ন অভিযুক্তরা কবে ধরা পড়বে, নাকি এই ঘটনাও সময়ের সঙ্গে চাপা পড়ে যাবে?