বাংলাহান্ট ডেস্ক:ফের একবার ভারতে (India) সন্দেহভাজন গতিবিধির আভাস। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উরি সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি চোখে পড়তেই তৎপর ভারতীয় সেনারা (Indian Army) সঙ্গে সঙ্গেই গুলি চালিয়ে জবাব দেয়। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনারা।
ভারত সীমান্তে সন্দেহজনক গতিবিধি (India)
জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা (LOC) বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি চোখে পড়তেই তৎপরতা দেখাল ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় জওয়ানরা গুলি চালিয়ে জবাব দেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনা। এনআইএ সূত্রে খবর, অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে অভিযান জারি রয়েছে।
সেনা সূত্রের দাবি, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। ঠিক সেই কারণেই সন্দেহজনক গতিবিধি চোখে পড়তেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত বরাবর অনুপ্রবেশের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অন্যদিকে রবিবার পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আরও এক নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন জওয়ানরা। দেখা যায়, সীমান্তের ওপার থেকে একাধিক ড্রোন ভারতের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, পাঁচ মিনিট ধরে অন্তত আধ ডজন ড্রোনকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় ওড়তে দেখা যায়। পরে আবার সেগুলি ফিরে যায় পাকিস্তানে। সেনার ধারণা, নজরদারির উদ্দেশ্যেই ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনার পরেই ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন:- চলতি বছরে সম্পন্ন হবে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ! তার আগেই ISRO পেল বিরাট সাফল্য
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনার কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক কালে সীমান্তে যে ধরনের ড্রোন দেখা যাচ্ছে, তা মূলত নজরদারি বাড়ানো বা অস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। একাধিকবার এমন নজির রয়েছে, যখন পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে মাদক এবং অস্ত্র পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পহেলগাঁওকাণ্ড এবং ভারত-পাক সামরিক উত্তেজনার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সহ ভারত-পাক সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। সেনার তরফে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্ত বরাবর নজরদারির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সেনার মোতায়েনও বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েকে মাসের মধ্যে একাধিকবার পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়েছে বিএসএফ। সীমান্তে টহলদারি এবং নজরদারির পাশাপাশি সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও দৃঢ় করা হয়েছে।