বর্তমান যুগে স্যোসাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট ছাড়া যেন মানুষ এক মুহূর্তও চলতে পারে না আর তার সাথে রয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া। বাড়ির যে কোন কাজ কর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়া এখন মানুষের নিত্যদিনের নেশায় পরিণত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরের খবর পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের কোনায় কোনায়। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আমাদের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে সেই ব্যাপারে হয়তো আমরা কেউই ভাবতে পারিনা। এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে তারকা ক্রিকেটারের জীবনে অর্থাৎ তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে।
হবর্ত হারিকেন্সের উইকেট রক্ষক ব্যাটার এমিলি স্মিথের জীবনে নেমে এল সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য এক বড় বিপদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর পোস্ট করার জন্য তার ক্যারিয়ারে অন্ধকার নেমে এল। নিজের দলের ভিতরের আপডেট স্যাস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে নির্বাচিত করা হল।
গত 2 ই নভেম্বর বার্নিতে হবর্ত হারিকেন্স বনাম সিডনি থান্ডারের ম্যাচ ছিল, সেই ম্যাচের প্রথম একাদশ অফিসিয়াল ভাবে ঘোষণার আগেই হবর্ত হারিকেন্সের প্রথম একাদশ নিজের ইনস্টাগ্রামে পোষ্ট করে দেন এমিলি স্মিথ। এমনিতে প্লেয়ার এন্ড ম্যাচ অফিসিয়াল এরিয়েতে মোবাইল নিয়ে যাওয়া অপরাধ কিন্তু এমিলি স্মিথ সেখানে মোবাইল নিয়ে গিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে সেটা নিজের ইনস্টাগ্রামে পোষ্ট করেন।
এমনিতে প্লেয়ার এন্ড ম্যাচ অফিসিয়াল এরিয়েতে মোবাইল নিয়ে গিয়ে একটা অপরাধতো করেছেন সেই সাথে দলের অন্দরের এমন কিছু তথ্য তিনি স্যোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন যেখান থেকে ক্রিকেট বুকিরা ম্যাচ ফিক্সিং করতে সুবিধা পাবে। আর এই সমস্ত দোষ করেই এমিলি স্মিথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তার ফলেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এমিলি স্মিথকে প্রথমে 12 মাস নির্বাসিত করা হয় পরে সেই মেয়াদ কমিয়ে 3 মাস করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এখন তিন মাস এমিলি স্মিথ সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই নির্বাসিত থাকবেন।