Bangla Hunt

Author: Debapriya

  • ফাঁসির বদলে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন? সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকারের ‘না’, তুঙ্গে বিতর্ক

    ফাঁসির বদলে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন? সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকারের ‘না’, তুঙ্গে বিতর্ক

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি বদলাবে কি? এই নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে আলোচনায় এল এই প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি পদ্ধতি বদলের কথা ভাবার সময় এসেছে।

    শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) কি জানিয়েছে মামলাকারী?

    মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা জানান, “অন্তত বন্দিদের বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক তারা চাইলে ফাঁসির বদলে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন বেছে নিতে পারেন।” তিনি দাবি করে বলেন, এই পদ্ধতি মানবিক এবং দ্রুত। তিনি বলেন, “ফাঁসি অত্যন্ত নৃশংস, বর্বরোচিত এবং দীর্ঘস্থায়ী। প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনে মৃত্যু দ্রুত হয়।” তিনি আরও যুক্তি দিয়ে বলেন সেনাবাহিনীতেও বিকল্প মৃত্যুদণ্ডের অপশন দেওয়া হয়।

    কেন ইঞ্জেকশনকে মানবিক মনে করা হচ্ছে?

    মামলাকারীদের বক্তব্য, ফাঁসির সাজায় কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় লাগে, ফলে মৃত্যুর আগে বন্দি চরম যন্ত্রণা পান। তাই তাঁরা প্রস্তাব দেন, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন, বৈদ্যুতিক শক বা গ্যাস চেম্বারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, যা কয়েক মিনিটেই কার্যকর হয়। তাঁরা আরও জানান, আমেরিকার ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৪৯টিতেই ইতিমধ্যেই প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

    যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানানো হয়েছে, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের তরফে পেশ করা হলফনামায় বলা হয়, বন্দিদের বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে গুরুতর নীতিগত প্রশ্ন। তাই ফাঁসির পরিবর্তে নতুন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

    Kolkata Municipal Corporation Faces Financial Questions Over Puja Hoarding Revenue

    আরও পড়ুনঃ হোর্ডিং থেকে কোটি কোটি টাকা আয়, তবু পুরসভার ভাগ শূন্য! খোদ TMC কাউন্সিলরের প্রশ্নে অস্বস্তিতে মেয়র ফিরহাদ

    বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ থেকে জানানো হয়“সমস্যা হল সরকার বিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়। এটা একটা অত্যন্ত পুরনো পদ্ধতি (ফাঁসি)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলেছে।” আদালতের (Supreme Court) এই মন্তব্যে আবারও আলোচনায় আসে মৃত্যুদণ্ডের মানবিক রূপান্তর। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ নভেম্বর।

  • হোর্ডিং থেকে কোটি কোটি টাকা আয়, তবু পুরসভার ভাগ শূন্য! খোদ TMC কাউন্সিলরের প্রশ্নে অস্বস্তিতে মেয়র ফিরহাদ

    হোর্ডিং থেকে কোটি কোটি টাকা আয়, তবু পুরসভার ভাগ শূন্য! খোদ TMC কাউন্সিলরের প্রশ্নে অস্বস্তিতে মেয়র ফিরহাদ

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা শহর জুড়ে ছড়িয়ে আছে গুচ্ছগুচ্ছ হোর্ডিং বোর্ড, ব্যানার আর বিজ্ঞাপনের পোস্টার। উৎসবের মরসুমে এগুলির মাধ্যমে ব্যবসা করছে বহু ক্লাব ও পুজো উদ্যোক্তা। কিন্তু এই বিপুল আয় থেকে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) কোনও অর্থই পাচ্ছে না। এই নিয়েই প্রশ্ন তুললেন পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

    পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) অধিবেশনে বিস্ফোরক প্রশ্ন বিশ্বরূপের

    বুধবার কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মাসিক অধিবেশনে তৃণমূল কাউন্সিলর সরাসরি প্রশ্ন করেন, “শহর জুড়ে হোর্ডিং বোর্ডে চলছে ব্যবসা। ক্লাবগুলি টাকা তুলছে। তাহলে পুরসভার ভাগ কোথায়?” তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) আর্থিক পরিস্থিতি এমনিতেই নড়বড়ে। অথচ এই হোর্ডিং থেকে টাকার উৎস তৈরি করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও অর্থ আদায় করা হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করে বলেন, “ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তারা ব্যবসা করবে, পুরসভা কিছুই পাবে না, এটা হতে পারে না।”

    মেয়র স্বীকারোক্তিতে বলেন…

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্যের পর জবাব দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্বীকার করেন, পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) নিজের অর্থভাণ্ডার ক্ষতি করেই পুজোর যাবতীয় কাজ করেছে। মেয়র বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, যাতে উৎসব আরও বড় পরিসরে তুলে ধরা যায়। সেই কারণে পুজো কমিটিগুলির কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরের এমন খোলামেলা প্রশ্নে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট এখন প্রকট। ফলে বিশ্বরূপের মন্তব্য অনেকের কাছেই ‘অন্দরমহলের ক্ষোভ’-এর প্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে। পুরসভা কর্তাদের একাংশের মতে, যেসব কথা তাঁরা প্রকাশ্যে বলতে পারেন না, তা-ই এদিন বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর।

    Kolkata Municipal Corporation Faces Financial Questions Over Puja Hoarding Revenue

    আরও পড়ুনঃ বিতর্কে হারলেন দেবাশিস, উত্থান সাব্বিরের, ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

    প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে হোর্ডিং বাবদ কোনও খরচ নেওয়া যাবে না। বরং পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) তাদের সব রকম সুবিধা ও পরিষেবা দেবে। কিন্তু অধিবেশনে প্রশ্ন উঠছে যখন কলকাতা পুরসভা অর্থসঙ্কটে ভুগছে, তখন শহরের বড় বড় হোর্ডিং ব্যবসা থেকে পুরসভা বঞ্চিত থাকবে কেন? অধিবেশন শেষে বিশ্বরূপ দে ফের বলেন, “আমি ভুল কিছু বলিনি। এখনই সময় টাকার উৎস খুঁজে বের করার। পুরসভার আয় বাড়ানো জরুরি।”

  • বিতর্কে হারলেন দেবাশিস, উত্থান সাব্বিরের, ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

    বিতর্কে হারলেন দেবাশিস, উত্থান সাব্বিরের, ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)-এর জেলা সভাপতি পদে একাধিক নতুন মুখ ঘোষণা করল দল। কোথাও পুরনোদের জায়গা অটুট, কোথাও বা পরিবর্তন। কিন্তু সবচেয়ে নজর কেড়েছে দক্ষিণ কলকাতার নতুন সভাপতি হিসেবে বিতর্কিত ছাত্রনেতা সাব্বির আলির নাম। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের এই যুবনেতা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন, তবুও দলের ভরসা এবার তাঁর উপরেই।

    সরস্বতী পুজো বিতর্কে যেভাবে শিরোনামে এসেছিলেন সাব্বির (TMCP)

    চলতি বছর সরস্বতী পুজো ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই প্রাক্তন কলেজ, যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজে। অভিযোগ, পুজো করার বিরোধিতা করে ছাত্রনেতা সাব্বির আলি নাকি এক ছাত্রকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেন। এই ঘটনায় চারু মার্কেট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়।

    কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পুজো বিতর্কের পর প্রকাশ্যে আসে সাব্বিরের আরও কিছু অভিযোগ। কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় নিজে জানান, সাব্বিরের ভয়েই তিনি নিয়মিত কলেজে যেতেন না, এমনকি একাধিকবার হেনস্থার মুখে পড়েছেন তিনি। এই সমস্ত বিতর্ক সত্ত্বেও দক্ষিণ কলকাতার TMCP সভাপতি হিসেবে সাব্বির আলির নাম ঘোষণায় বিস্মিত রাজনৈতিক মহল।

    অন্যদিকে বিতর্কই হারাল সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস দাসকে। মাস কয়েক আগে কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশের নাগরিক নিউটন দাসের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তখনই সামনে আসে দেবাশিসের নাম। অভিযোগ, ওই বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাঁর। এই বিতর্কের জেরেই দল (TMCP) এবার তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। তাঁর জায়গায় সুন্দরবনের নতুন সভাপতি হলেন প্রীতম হালদার।

    বিতর্কিতদের উপরে ভরসা কেন?

    দলের একাংশের মতে, ছাত্র সংগঠনের (TMCP) ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবই মুখ্য। সাব্বিরের প্রভাব দক্ষিণ কলকাতার কলেজ মহলে প্রবল, সেই কারণেই দলের আস্থা তাঁর উপর। তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, “তৃণমূলে যোগ্যতার থেকে এখন বিতর্কই বড় যোগ্যতা!”

    Controversial faces in new district committee in TMCP

    আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ওপর অনাস্থা, আরজি করের তুলনা টেনে CBI তদন্তের দাবি নির্যাতিতার বাবার

    এই রদবদলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। একদিকে পুরনো বিতর্কের পরও সাব্বিরের উন্নতি, অন্যদিকে বিতর্কেই দল থেকে দেবাশিসের ছিটকে পড়ার এই দুই বিপরীত চিত্র যেন একসঙ্গেই তুলে ধরেছে বর্তমান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সাংগঠনিক রূপরেখা।

  • দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ওপর অনাস্থা, আরজি করের তুলনা টেনে CBI তদন্তের দাবি নির্যাতিতার বাবার

    দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ওপর অনাস্থা, আরজি করের তুলনা টেনে CBI তদন্তের দাবি নির্যাতিতার বাবার

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Rape Incident) ফের নতুন মোড়। নির্যাতিতার বাবা এবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত যতই এগোচ্ছে বলা হোক না কেন, অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো মিলছে না। নির্যাতিতার বাবার দাবি, সিবিআই তদন্ত হলে তবেই প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়বে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুললেন নির্যাতিতার বাবা (Durgapur Rape Incident)

    নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমি দোষীদের শাস্তি চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে, তবে আমার তাও সন্দেহ রয়েছে। সিবিআই তদন্ত হলে আরও ভাল তদন্ত হবে। আমি অনুরোধ করব, সিবিআই তদন্ত করলে দ্রুত দোষীরা শাস্তি পাবে।” এই কথা প্রসঙ্গে তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আরজি করের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেননি। তাই এবার চাই নিরপেক্ষ তদন্ত। সিবিআই তদন্ত হলে ন্যায়বিচার হবে।”

    উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের এই ঘটনায় (Durgapur Rape Incident) প্রথমে গণধর্ষণের তত্ত্ব সামনে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নির্যাতিতা পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দিতে জানান, “ধর্ষক একজনই।” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি নিজে সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা স্পষ্ট করেছেন। যদিও মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণেরই ইঙ্গিত মিলেছে, যা তদন্তে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

    সোমবার ঘটনাস্থলে আলাদা আলাদা ভাবে অভিযুক্তদের ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনার (Durgapur Rape Incident) পুনর্নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই রাতে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ। সহপাঠীকে নিয়ে পুনর্নির্মাণের পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সিপি জানান, নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। তাঁর কাছে ফোন থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ঘটনার কথা কাউকে জানাননি, কিংবা কলেজ কর্তৃপক্ষ বা পুলিশকে খবর দেননি, তা নিয়েও উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।

    Durgapur Rape Incident Survivor’s Family Demands CBI Probe

    আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার

    অন্যদিকে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি জানিয়েছেন, “নির্যাতিতার বাবাকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। ঘটনার (Durgapur Rape Incident) তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” তবে নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, তদন্তে গতি এলেও তাঁদের পূর্ণ আস্থা আসেনি পুলিশের উপর। তাই নির্যাতিতার বাবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

  • নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রধান বিচারপতির ভূমিকায় পরিবর্তন, মামলা সুপ্রিম কোর্টে

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রধান বিচারপতির ভূমিকায় পরিবর্তন, মামলা সুপ্রিম কোর্টে

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ১১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আইন চ্যালেঞ্জের শুনানি হবে। এই মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ২০২৩ সালের আইনকে সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। আজ বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলেও সময়ের অভাবে তা মুলতবি করা হয়।

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে নির্বাচন কমিশনার আইন পাস হয়। নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার জন্য তিন সদস্যের একটি প্যানেল থাকবে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কমিটি যে প্রার্থীকে বা প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনারের জন্য সুপারিশ করবে, তাঁদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন।

    এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি রায় দিয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতি মিলিতভাবে একটি প্যানেল গঠন করবে। এই প্যানেল নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশনারদের প্রভাবমুক্ত ও স্বাধীনভাবে নিয়োগ।

    নতুন আইন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এবং অন্যান্য সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁরা বলেন, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা এবং প্রভাবমুক্ততা হুমকির মুখে ফেলছে।

    বর্তমান আইন এবং আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। পূর্ববর্তী রায়ে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচক কমিটির অংশ ছিলেন। কিন্তু নতুন আইন এই নিয়ম পরিবর্তন করেছে, ফলে বিচারপতির ভূমিকাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    Supreme Court to Hear Challenge on CJI’s Exclusion from EC Appointment Panel

    আরও পড়ুনঃ‌ হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার

    প্রসঙ্গত, সুপ্রীম কোর্টের (Supreme Court) ১১ নভেম্বরের শুনানি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত।

  • হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার

    হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। সোমবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্বর না কমায় এবং শারীরিক দুর্বলতা বাড়ায় শেষমেশ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কেমন আছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Samik Bhattacharya)

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতির একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে।

    দেখতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

    বুধবার হাসপাতালে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) খোঁজ নেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “শমীকদা এখন অনেকটাই ভালো আছেন। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    সূত্র অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সী শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) গত কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং শরীর খারাপ নিয়েও দলের একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে তিনি সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে। সেই সময় থেকেই শরীর খারাপ বাড়তে থাকে। তবুও দলের দায়িত্ব থেকে বিরতি নেননি তিনি।

    অবশেষে সোমবার সকালে হঠাৎ করে শরীরের দুর্বলতা বেড়ে গেলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাঁর ডেঙ্গি বা অন্য কোনও মশাবাহিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

    Sukanta Majumdar Visits Hospitalised BJP State President Shamik Bhattacharya

    আরও পড়ুনঃ জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) উপর কাজের চাপ বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গঠন করছেন নতুন কমিটি, সাংগঠনিক কর্মসূচি দিচ্ছেন একের পর এক। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘন ঘন যেতে হচ্ছে তাঁকে। এই লাগাতার কর্মব্যস্ততাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

  • জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর মুখে টানা পাঁচ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলবন্দি হয়ে পড়েছিল কলকাতা। যাদবপুর থেকে ভবানীপুর, পার্ক সার্কাস থেকে একবালপুর, শহরের রাস্তায় জমে থাকা জলই সেই রাতে পরিণত হয়েছিল মৃত্যুফাঁদে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান অন্তত ১২ জন। বুধবার দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে সেই মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিন ঘোষণা করেন যে, আগামী ১৭ অক্টোবর কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি চত্বরের এক মণ্ডপে আহ্বান করা হবে মৃতদের পরিবারকে। সেদিন তাঁদেরকে রাজ্যের তরফ থেকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য ও পরিবারের একজন সদস্যকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র।

    মৃত্যুর জন্য সিইএসসি-কে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    প্রতিপদের রাতের প্রবল বৃষ্টিতে শহরজুড়ে কোথাও কোথাও হাঁটুতে কোথায় কোথাও কোমর সমান জল জমে যায়।। মোমিনপুর, নেতাজিনগর, ঠাকুরপুকুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট মৃত্যু হয় ১২ জনের। এই মৃত্যুগুলির জন্য বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-কে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই দুর্ঘটনার পর সিইএসসির দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা কিছু করেনি।” তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতি পরিবারের জন্য অন্তত ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সিইএসসিকে। তবে সংস্থা কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায়, রাজ্য সরকারই শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ২ লক্ষ টাকার রাজ্য অনুদান ঘোষণা করেন, পরে জানান যদি সিইএসসি চাকরি না দেয়, তবে রাজ্যের তরফে স্পেশাল হোমগার্ড হিসেবে একজন সদস্যকে নিয়োগ করা হবে।

    বুধবার দার্জিলিংয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এই প্রসঙ্গে ফের বলেন, “কলকাতায় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলকাতার ১০ জন-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৭ তারিখ ওনাদের পরিবারকে ডাকা হবে। হাতে তুলে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র ও আর্থিক সাহায্য।”

    অর্থাৎ, কলকাতার ভয়াবহ জলদুর্ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়ে এবার রাজ্য নিজেই নিল মৃতদের পুনর্বাসনের ভার। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কার্যত প্রমাণ করল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর দায় এড়িয়ে গেল সিইএসসি, দায়িত্ব নিল রাজ্য প্রশাসন।

    Mamata Banerjee Announces Jobs for Families of 12 Electrocuted in Kolkata

    আরও পড়ুনঃ নিখোঁজ বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক? বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কের নামে পোস্টার পড়তেই হইচই উত্তরপাড়ায়

    এই দুর্ঘটনার পর থেকেই শহরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল সর্বত্রই প্রশ্ন উঠেছিল শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে সিইএসসি নীরব থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উদ্যোগে শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে কিছুটা স্বস্তি এনে দিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারানো ১২ জনের পরিবারের জন্য।

  • নিখোঁজ বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক? বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কের নামে পোস্টার পড়তেই হইচই উত্তরপাড়ায়

    নিখোঁজ বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক? বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কের নামে পোস্টার পড়তেই হইচই উত্তরপাড়ায়

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপাড়ায় ফের উত্তপ্ত রাজনীতি। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick) কেন্দ্র করে গরম হয়ে উঠেছে এলাকা। কোন্নগর ও নবগ্রাম অঞ্চলের একাধিক জায়গায় বুধবার সকাল থেকেই দেখা মিলেছে অদ্ভুত কিছু পোস্টারের। তাতে বড় হরফে লেখা, “রাস্তাগুলো হচ্ছে শেষ, বিধায়ক আমার নিরুদ্দেশ”, আবার কোথাও লেখা, “বিধায়ক তুমি আছো কোথা, কবে শুনবে মানুষের ব্যথা?” নিচে সই করা নাম ভারতীয় জনতা পার্টির।

    অভিযোগ নির্বাচনের পর থেকে আর দেখা যায় না কাঞ্চন মল্লিক কে (Kanchan Mullick)

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে এলাকার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick) আর দেখা যায় না। রাস্তাঘাট থেকে জলনিকাশি, নিত্য সমস্যায় মানুষ কার্যত অসহায়। তাদের দাবি, “এলাকার সমস্যা কারও কাছে বলা যাচ্ছে না। বিধায়ক নেই, অফিসে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলে না। তাই বাধ্য হয়েই পোস্টার মেরে মানুষকে জানাতে হচ্ছে আমাদের বিধায়ক ‘নিখোঁজ’।’”

    বিজেপির এই অভিযোগে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। উত্তরপাড়ার তৃণমূল নেতা পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়কের তহবিল থেকে নবগ্রামের রাস্তা তৈরি হয়েছে। বিজেপির চোখে যদি সেটা না পড়ে, তবে সেটা তাদের ন্যাবা হওয়া। বিধায়ক আসবেন কি না সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। নানা সাংস্কৃতিক কাজের দায়িত্বও তাঁর রয়েছে। বিজেপি পরিযায়ী পাখির মতো, ভোট এলেই এসে অভিযোগ করে।”

    তবে এলাকার মানুষ বলছেন, রাস্তা মেরামতির কাজ টিকছে না। “পুজোর সময় একটু পিচ পড়ে, কয়েকদিন বাদেই উঠে যায়। রাস্তায় চলা দায়,” অভিযোগ বাসিন্দাদের। নবগ্রাম, কানাইপুর, রঘুনাথপুর সর্বত্র একই ছবি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    তারা সমাধান শিবিরেও অনুপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন মল্লিক

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তরপাড়ার বিভিন্ন পাড়ায় ‘পাড়ায় সমাধান শিবির’ আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) অনুপস্থিতি নিয়েই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল। এক তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ্যে বলেন, “বিধায়ককে সিনেমায় দেখা যায়, কিন্তু এলাকায় দেখা যায় না।”

    এই অভিযোগের জবাবে কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) বলেন, “আমি এলাকায় যাই, অফিসে বসে কাজ করি। কেউ যদি দেখেও না দেখতে চায়, তাহলে আমি কী করব? আমি মানুষের কাজ করছি, সেটা তারা জানেন।” পরবর্তীতে তিনি অন্য একটি পাড়ার সমাধান শিবিরে উপস্থিতও হয়েছিলেন।

    Posters Declaring MLA Kanchan Mullick Missing in Uttarpara

    আরও পড়ুনঃ “রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা নয়!” টোটো নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    তবে বিজেপির এই পোস্টার কাণ্ড যে উত্তরপাড়ার রাজনৈতিক তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল, তা বলাই যায়। স্থানীয়দের মতে, “এভাবে পোস্টার মারা এখন রাজনীতির নতুন ভাষা হয়ে উঠছে।” বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) জনপ্রিয়তা যেমন সাংস্কৃতিক দুনিয়ায় তুঙ্গে, তেমন রাজনৈতিক উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। এখন দেখার এই বিতর্কে বিধায়ক নিজে কী ব্যাখ্যা দেন।

  • “রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা নয়!” টোটো নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    “রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা নয়!” টোটো নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে টোটো পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নম্বর প্লেট ও কিউআর কোড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য, টোটো চলাচলে শৃঙ্খলা আনা এবং দুর্ঘটনা রোধ করা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মঙ্গলবার সল্টলেকের বিজেপি রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, টোটো রেজিস্ট্রেশনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। তাঁর বক্তব্য, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে ৫ লক্ষ টোটো–চালককে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে সরকার। যাতে ভবিষ্যতে তৃণমূলের সভা বা মিছিলে লোক জড়ো করতে অসুবিধা না হয়।”

    টোটো চালকদের সরকারকে টাকা না দেওয়ার জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ করে বলেন যে, “পুজোর অনুদান বাড়ানো হচ্ছে, অথচ গরিব টোটো চালকদের কাছ থেকে বছরে হাজার টাকা করে রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে! এই সিদ্ধান্ত সরকারকে এখনই প্রত্যাহার করতে হবে।” শুভেন্দু টোটো চালকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়ে বলেন যে, “টোটো চালকরা এখনই কোনও টাকা দেবেন না সরকারকে। বিধানসভা ভোটের পরে আমরা নতুন নীতি আনব।”

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এইরূপ মন্তব্যে তৃণমূল তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “রাজনীতি আর প্রশাসন আলাদা জিনিস, সেটা শুভেন্দু অধিকারী বোঝেন না। তিনি সংকীর্ণ রাজনীতির বাইরে কিছুই দেখতে পান না।”

    অরূপের দাবি, “প্রতিদিনই অনিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে টোটো চালক ও পথচলতি উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজেপি আসলে বিশৃঙ্খলার রাজনীতি করছে। শুভেন্দু অধিকারীর এই উস্কানিতে কোনও টোটো চালক সাড়া দেবেন না।”

    Suvendu Adhikari Slams TMC Over Toto Registration Move

    আরও পড়ুনঃ “ভবানীপুরে ১ লক্ষ ভোটে জিতবেন মমতা”, তৃণমূল টার্গেট ঠিক করতেই পাল্টা আসরে বিজেপি

    রাজ্য সরকারের মতে, বহু মানুষের জীবিকা টোটোর সঙ্গে যুক্ত। তাই টোটো পরিষেবা বন্ধ না করে সেটিকে নিয়ম ও নিরাপত্তার আওতায় আনা জরুরি। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, টোটো রেজিস্ট্রেশন ও নম্বরপ্লেট ব্যবস্থার মাধ্যমে টোট চালকদের পরিচয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের লক্ষ্য যেখানে দুর্ঘটনা রোধ ও জননিরাপত্তা। কিন্তু এখানে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।।

  • “গণধর্ষণ নয় ধর্ষক একজনই”, দুর্গাপুর মেডিক্যাল কাণ্ডে বিস্ফোরক বয়ান নির্যাতিতার

    “গণধর্ষণ নয় ধর্ষক একজনই”, দুর্গাপুর মেডিক্যাল কাণ্ডে বিস্ফোরক বয়ান নির্যাতিতার

    বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরের নারকীয় ধর্ষণ কাণ্ডে (Durgapur Rape Incident) বড় মোড়। অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন নির্যাতিতারই সহপাঠী। সোমবার রাতেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহজনক। ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।”

    ঘটনার (Durgapur Rape Incident) পুনর্নির্মাণের পরেই উদ্ধার হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সোমবার ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে একটি বড় টিম দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের পেছনের জঙ্গলে যায়। সেখানে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের আলাদা করে নিয়ে ঘটনার (Durgapur Rape Incident) পুনর্নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের গেট থেকে জঙ্গলের ভেতর পর্যন্ত যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেটিও খতিয়ে দেখে পুলিশ। পরে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাক উদ্ধার হয়।
    ঘটনার পুনর্নির্মাণ শেষে পুলিশ জানায়, সহপাঠীর বক্তব্য ও প্রমাণের মধ্যে স্পষ্ট অসঙ্গতি মিলেছে। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

    নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    গোপন জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে একটি নির্জন রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। সেই সময় সহপাঠী কেন তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন, কেন পরে ফোন থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশকে কিছু জানাননি এই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা নিজেই। নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে জানান, “একজনই ধর্ষণ করেছে।” পুলিশের দাবি, পাঁচজন অভিযুক্তের মধ্যে বাকি চারজন ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন, যার প্রমাণও মিলেছে। সহপাঠীর ভূমিকা নিয়েও রয়েছে গভীর প্রশ্ন।

    পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, ভিতরের চামড়া ছিঁড়ে যাওয়া এবং প্রবল রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। সিপি চৌধুরীর কথায়, “সহপাঠীকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও সিজ করা হয়েছে।” এই ঘটনায় বিএনএস ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৩০৪(২), ৩০৮(২), তোলাবাজি ও ৩১৭(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    Sensational information about the Durgapur rape incident

    আরও পড়ুনঃ “ভবানীপুরে ১ লক্ষ ভোটে জিতবেন মমতা”, তৃণমূল টার্গেট ঠিক করতেই পাল্টা আসরে বিজেপি

    ঘটনার (Durgapur Rape Incident) তদন্তে ক্রমে নতুন নতুন দিক উঠে আসছে। পুলিশের অনুমান, সহপাঠী হয়ত ঘটনার আগে থেকেই কিছু জানতেন বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাই আপাতত তাঁর ভূমিকা পুলিশের সন্দেহের তালিকার শীর্ষে।