বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এক বিশেষ নাম হয়ে উঠেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিতে ‘ভাইপো’ নামে পরিচিত এই তৃণমূল নেতা তার কাজকর্মের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছে। সে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ হোক কিংবা নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে বিপুল জনসমর্থনের দ্বারা নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে হোক। অভিষেক ব্যানার্জি, এই নামটি তৃণমূল দলে বর্তমানে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। আর এবার অভিষেক ব্যানার্জিকে দিল্লিতে ইডি দপ্তরে ডাকার মধ্যে দিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি সংস্থা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রীকে একাধিকবার সমন পাঠায় এবং তারা সেখানে হাজির হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। বিতর্ক বাঁধে যখন কলকাতার অফিস ছেড়ে তাদের দিল্লিতে থেকে পাঠানো হয়। সেই সময় দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে অভিষেক এবং বর্তমানে সেই মামলা খারিজ করা হয়েছে। এর ফলে তাকে শেষপর্যন্ত দিল্লি যেতে হবে ফলে স্বভাবতই কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। দিল্লি যাওয়ার পূর্বে দমদম বিমানবন্দরে তিনি স্পষ্ট করে জানান, বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে হারার পর তাদের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে এবং প্রতিশোধের রাজনীতি খেলছে তারা। ফলে ভোটে হারের পর একের পর এক তৃণমূল নেতাকে তারা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, বিজেপির এই নোংরা খেলায় তারা দমবার পাত্র নয় এবং তারা যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা নত করবে না সে বিষয়ে স্পষ্ট জানান অভিষেক।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও অভিষেককে সমর্থন করে বলেছেন যে, বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সফল করার জন্য একাধিকবার তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছে। কিন্তু তারা কখনোই তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি এবং এসব করে বিরোধী দলকে যে তারা কখনোই ছোট করতে পারবে না সে বিষয়ে জানান মমতা ব্যানার্জি।
তিনি আরও বলেন, ‘‘দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম আমরা এবং শুনানির পর তিন মাস রায় স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু চার রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপি জেতার পরই পরের দিন আমার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।’’ অভিষেক আরো বলেন, ‘‘আমার বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা আছে। কিন্তু দুটি বিষয় এক হতে পারে না। আমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং ডাক্তার আমায় সম্পূর্ন বেডরেস্টে থাকতে বললেও আমাকে বাধ্য হয়ে দিল্লি যেতে হচ্ছে। কলকাতার মামলায় আমাকে কেন দিল্লিতে ডেকে পাঠাবে। কলকাতায় তো অফিস ছিলো। যতবার ডাকতো যেতাম।’’