বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেট দল এশিয়া কাপে জঘন্য পারফরম্যান্স করেছিল। সুপার ফোরে তারা শেষ দল হিসেবে অবস্থান করে ওই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এখানেও হতশ্রী পারফরম্যান্সের অন্যতম বড় কারণ ছিল তাদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিজেদেরকে মেলে ধরতে না পারা। বাবর আজম (Babar Azam) সহ বাকি সিনিয়র ক্রিকেটাররা চূড়ান্তভাবে হতাশ করেছিলেন ওই টুর্নামেন্টে। বাবার আজম নিচে নেপালের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত শতরান ছাড়া ওই টুর্নামেন্টে মনে রাখার মত কিছু করে উঠতে পারেননি।
বিশ্বকাপের আগে এই ঘটনা বাবর আজমদের প্রস্তুতিতে কতটা বড় ধাক্কা দিয়েছে তা জানা নেই। তবে এরই মধ্যে এক নতুন বিপাকে জড়িয়েছে আমি পাকিস্তান অধিনায়ক। পাঞ্জাব মোটরওয়েতে স্পিড লিমিট না মেনে গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা করা হয় বাবরকে। বিশ্বকাপের আগে আইনি ঝামেলায় পড়তে হয় পাকিস্তান অধিনায়ককে। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার অর্থাৎ ২৫ শে সেপ্টেম্বর, যখন করাচির ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামাতে বাধ্য হয়।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে বাবর আজম হাইওয়েতে গতিসীমা অতিক্রম করার জন্য জরিমানা ভরেছেন। একটি অনলাইন ভিডিও ক্লিপ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যায় পাকিস্তান অধিনায়ক তার চালান গ্রহণ করার সময় ট্রাফিক অফিসারকে সহযোগিতা করছেন। তাদের দুজনের পেছনেই পাকিস্তান অধিনায়কের অডিটি পার্ক করা রয়েছে। যদিও বাবরকে ঠিক কত জরিমানা দিতে হয়েছে তা জানা যায়নি।
বাবর আজম নিজের জীবনে এই প্রথম রাস্তায় আইনি ঝামেলায় জড়ালেন এমন নয়। এর আগে চলতি বছরেই গাড়িতে বৈধ নম্বর প্লেট না থাকায় তিনি শিরোনামে এসেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে জরিমানাও জারি করেছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার এরকম ঘটনা তার নীতিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
খবর পাওয়া গিয়েছিল কিছুদিন আগে পাকিস্তান যখন এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যায় তখন ড্রেসিংরুমে সিনিয়র ক্রিকেটার শাহীন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন বাবর আজম। আর এক সিনিয়র পাক ক্রিকেটার শাদাব খানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো নয়।