বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: টুর্নামেন্টের সুপার ১২ পর্যায়ের পর যখন ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং পাকিস্তান সেমিফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল তখন চারটি দলের ক্ষেত্রেই একটি এক রকম ব্যাপার হয়তো সকল ক্রিকেটপ্রেমীরই চোখে পড়েছিল। চারটি দলের অধিনায়কই সুপার টুয়েলভ পর্যায়ে নিজেদের সেরা ছন্দে ছিলেন না। দলের অধিনায়কের অফ ফর্ম নিয়ে প্রত্যেক দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাই চিন্তিত ছিলেন।
এরপর এলো প্রথম সেমিফাইনাল। মুখোমুখি হল পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৪২ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের উপর ভর করে প্রাথমিক বিপর্যয়কে সামলে নিয়ে লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছল কিউয়িরা। ওই ইনিংসের যতই সমালোচনা হোক সকলেই জানেন যে কিউইরা কাল যেটুকু লড়াই করতে পেরেছে, সেটা ও সম্ভব হতো না যদি না উইলিয়ামসেন ওই ব্যাটিংটা করতে পারতেন।
এরপর আসে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের নাম। গোটা টুর্নামেন্টে অধিনায়কদের মধ্যে হয়তো সবচেয়ে খারাপ ফর্মে ছিলেন তিনি। কিন্তু বড় ম্যাচে একবার জ্বলে উঠলেন পাক অধিনায়ক। তিনি যে বিশাল আগ্রাসী ইনিংস ফেলেছেন তা নয়, তো তার ৪২ বলে ৭ টি চার দিয়ে সাজানো ৫৩ রানের ইনিংস টি অত্যন্ত কার্যকর ছিল পাকিস্তানের জয়ের জন্য। নিউজিল্যান্ড একসময় লড়াইয়ে ফিরতে পেরেছিল। কিন্তু প্রথমদিকে উইকেট না খোয়ানোর কারণে পাকিস্তান কিছুটা চাপে পড়লেও ম্যাচ বার করে নেয়।
এরপর আসে আজকে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের কথা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেই তিনি নিজের পরিচিত ছন্দে ফিরেছিলেন। কিন্তু তারপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে নিজের সেরা ছন্দে পাওয়া যায়নি। তার আগে গোটা টুর্নামেন্টেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি পরিচিত, সেটা হচ্ছিলো না। আজ সঙ্গে অ্যালেক্স হেইলসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ বলে ৮০ রানের যে ইনিংসটি খেললেন সেটার প্রশংসা করতে গেলে বিশেষণই কম হয়ে যাবে। ভারতীয় বোলিংকে কার্যত কচুকাটা করেছেন তিনি।
এরপর আসে অধিনায়ক রোহিত শর্মার কথা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুবার জীবনদান পাওয়ার পর একটি অর্ধশতরান করতে পেরেছিলেন তিনি। আজকের ম্যাচেও তার ক্যাচ পড়েছিল একবার। কিন্তু তার ব্যাটিং দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি নিজের সেরা ছন্দের ধারে কাছ দিয়ে যাচ্ছেন না। আজ ২৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের শুরুতেই যেন ভারতের ললাটলিখন লিখে দিয়ে গেলেন তিনি।