বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাইঝির জন্য ভোট প্রচারে নেমে নাম না করে বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah)। ভিডিও বার্তায় বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনে সিপিএমের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন সায়রা শাহ হালিম। সম্পর্কে ভাইঝি সায়রার জন্য ভিডিও বার্তায় ভোট চাইতে গিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, বালিগঞ্জের মানুষ কি এমন কাউকে চান যিনি সংবেদনশীল, সহমর্মী কাউকে নাকি রঙ বদলানো, সুযোগসন্ধানী কাউকে?
কোনো নাম না নিলেও নাসিরের ইঙ্গিতটা যে বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র দিকেই ছিল তা বুঝতে বাকি থাকেনি কারোরই। আসলে নাসিরুদ্দিন নিজে বরাবর বিজেপি বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করে এসেছেন। বামপন্থী মতাদর্শের জন্যই পরিচিত তিনি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘নো ভোট টু বিজেপি’র আবেদনপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন।
অন্যদিকে এত বছর যাবত বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল নাগরিকত্ব আইনের পক্ষেই কথা বলে এসেছেন বরাবর। তবে এখন তৃণমূলে চলে আসায় সুর অন্য রকম বাবুলের। তাই ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে তোপ নাসিরুদ্দিনের। বাবুল অবশ্য ছেড়ে কথা বলেননি।
দ্য ওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গায়ক রাজনীতিক বলেন, নাসিরুদ্দিন শাহ অনেক বড় অভিনেতা। তাঁর অভিনয় ও কাজ সম্মান, শ্রদ্ধা করার মতোই। কিন্তু উনি রাজনীতি বোঝেন না। তাই এই ধরনের মন্তব্য করছেন। বরং বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, নাসিরুদ্দিন শাহের আলটপকা মন্তব্য করা নিয়ে রেকর্ড রয়েছে। এ জন্য বলিউডেও হাসির খোরাক হয়েছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় নাসিরকে বলতে শোনা যায়, “বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের সামনে নির্বাচন খুব স্পষ্ট। আপনারা কি এমন কাউকে প্রতিনিধি হিসাবে চান যে সংবেদনশীল, সহমর্মী ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আপনাদের জন্য কাজ করবে। নাকি বেছে নেবেন রঙ বদলানো, সুযোগসন্ধানী কাউকে, যে সমাজে বিদ্বেষ ছড়ায়?”
কটাক্ষের উত্তরে বাবুল বলেন, দলবদলু দু ধরনের হয়। যারা সুবিধাবাদী, নিজেদের স্বার্থে দল বদল করে। আর দু নম্ব্য হল যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দল ছাড়ে। নাসিরুদ্দিন এতশত জানেন না। রাজনীতি সম্পর্কে ওঁর ধারণা কম।