‘ব্যাডমিন্টনের শাটল-এর মতো এদিক ওদিক করার একটা বয়সও তো আছে’- মুকুলকে আক্রমণ বাবুলের

   

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার এক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। বঙ্গ রাজনীতিতে ঘটে গেল এক বড়সড় পরিবর্তন। দীর্ঘ ৪ বছর পর অবশেষে আবারও সবুজ শিবিরে প্রত্যাবর্তন করলেন সপুত্র মুকুল রায় (Mukul Roy), ফিরলেন নিজের পুরনো ঘরে। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, অবশেষে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আশ্রয়ে। এই ঘটনায় আক্রমণ করতে ছাড়লেন না বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।

একটা সময় তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর থেকে দীর্ঘ ৪ টে বছর কেটে গেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কিছুটা জল্পনা উঠলেও, আবার সব ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। নির্বাচন শেষে বিজেপির ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয়ের স্বপ্ন কার্যত ৭৭-এই আটকে যায়। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আবারও বাংলার ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল শিবির।

mamata tmc bhawan

ফলাফল প্রকাশ হতেই একের পর এক দলবদলুরা আবারও ফিরতে চাইছেন তাঁদের পুরনো ঠিকানায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল ত্যাগী যারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁরা বিজেপি ছেড়েও দিয়েছেন। আবার কিছুজন দলে থেকেই ধরেছেন বেসুরো সুর।

তবে এরই মধ্যে মুকুল রায়ের ঘরে ফেরার জল্পনা কিছুদিন ধরে উঠলেও, শুক্রবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল। নির্বাচনের পর থেকেই কিছুটা ছাড়া ছাড়া ভাব দেখা গিয়েছিল বিজেপির সঙ্গে মুকুল রায়ের। শপথ বাক্য পাঠ করলেও, বিজেপির বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। তারপর আবার মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। আর তারপর থেকেই ছিল শুধুমাত্র সঠিক সময়ের অপেক্ষা। আর সেই দিনটা এল শুক্রবার।

শুক্রবার দিন নতুন করে তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে মুকুল রায়কে সবুজ শিবিরে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল ফিরতেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এল’। অন্যদিকে পুরনো ঠিকানায় ফিরতে পেরে স্বস্তি পেয়ে মুকুল রায় বললেন, ‘পারলাম না বিজেপি করতে, আর করবও না। ফিরলাম পুরনো ঘরে। আবারও নিজের জায়গায় ফিরবে বাংলা। বাংলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের সকলের নেত্রী, ভারতবর্ষের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী’।

https://www.facebook.com/BabulSupriyoOfficial/posts/4200805913295518

মুকুলের ফিরে যাওয়ায় রাজনীতিতে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, ‘আচ্ছা বলুন তো, রাজনৈতিক নেতাদের মানুষ অপছন্দ কেন করবে না !! কোনো রাজনৈতিক নেতার থেকে ‘নৈতিক’ কিছু মানুষ (আর) আশা করে না – তাদের দোষও দেব না | দলও অনেকেই বদলায়, সেটাও ঠিক আছে | কিন্তু ব্যাডমিন্টনের শাটল-এর মতো এদিক ওদিক করার একটা বয়সও তো আছে | আত্মসম্মান ব্যাপারটা না হয় ছেড়েই দিলাম…। যাইহোক, মুকুলদা যে ধরণের ‘গভীর জলের মাছেদের’ সঙ্গে ঘোলাজলে সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন, সেখানেই খুশি মনে ফিরে গেছেন এটা বেশ ভালোই হয়েছে ! All the Very Best to him’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর