বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত রাইটার্স বিল্ডিং তথা মহাকরণ রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় ছিল। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে মুখ্য সচিবালয় মহাকরণ থেকে সরিয়ে গঙ্গার ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন মুখ্য সচিবালয় ‘নবান্ন” বলেই পরিচিত। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর মহাকরণের সংস্কারের জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় বদলে দেন।
কিছুদিন আগে বিজেপির মুখপাত্র তথা প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন যে, মহাকরণের সঙ্গে বাংলা আর বাঙালীদের আবেগ জড়িয়ে আছে। এর সঙ্গে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্যও জড়িয়ে রয়েছে। আর সেই আবেগকে সম্মান জানানোর জন্য বিজেপি ক্ষমতায় এসে নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় মহাকরনে ফিরিয়ে আনবে বলে জানান তিনি। ওনার মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী অফিস ঐতিহ্যবাহী মহাকরণেই হবে।
আর এবার রাজ্যের সচিবালয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির সাংসদ তথা টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বলেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে নবান্নকে বৃদ্ধাশ্রম, ছাত্রাবাস অথবা হাসপাতাল বানানো হবে। বাবুল সুপ্রিয়র এই পোস্টে চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে।
বাবুল সুপ্রিয় নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘Media যে কেন এই ভোটটিকে ‘নীলবাড়ির লড়াই’ বলছে জানিনা | বিজেপি কি কখনো বলেছে যে সরকার গড়ে নীলবাড়িটিকেই হেডকোয়ার্টার করবে?? আমি তো বরঞ্চ মনে করি, ওই নীলবাড়িটিতে বসে চরম জনবিরোধী ও একান্তই নিষ্ঠুর ও অনৈতিক যে সব কাজকর্ম করেছেন মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী, তাতে ওই বাড়িটি বাংলার ইতিহাসে একটি অভিশপ্ত বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থেকে যাবে !!”
বাবুল সুপ্রিয় নিজের পোস্টে আরও লেখেন, ‘নীলবাড়িটির শাপমুক্তি হতে পারে একমাত্র যদি ওটিকে একটি গরীব মানুষের হাসপাতাল বা মনোরম একটি বৃদ্ধাশ্রম বা গ্রামগঞ্জের যে সব ছাত্র কলকাতায় পড়তে আসে, তাদের জন্য একটি ছাত্রাবাসে রূপান্তরিত করা হয় !!”
আরেকদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র এই মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, ‘ও একটা পাগল। ওঁর কথায় কিছু এসে যায় না, বাবুল তো আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি না। ওঁর দলে অবস্থান ভালো না, এই কারণে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পরেও ওঁকে বিধানসভার প্রার্থী করেছে। তাই ওঁর কথায় কান না দেওয়াই ভালো।