বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানী (Pakistan) সুরক্ষা বাহিনী গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ রা মার্চ কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) গ্রেপ্তার করেছিল। পাকিস্তান কারাগারে বন্দী ভারতীয় নাগরিক ও সাবেক নৌ কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যাক-চ্যানেল থেকে সরকারকে বোঝানোর প্রচেষ্টা চলছে। আর এই কাজে অংশ নিয়েছেন হরিশ সালভে (Harish Salve)। এই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের কাউন্সেলর হলেন সালভে। তিনি আবার ভারতের প্রাক্তন সলিসিটার জেনারেল।
২০১৭ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের আদালত থেকে হরিশ সালভেকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। কারণ পাক সরকার তাঁকে ভারতের গুপ্তচর বলে অভিযোগ করেছিল। ইংরেজি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রশ্নের জবাবে হরিশ সালভ লন্ডনকে বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে পাক সরকার যদি পিছনের দরজা দিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে আমরা তাঁকে রাজি করিয়ে নেব। মানবিকতার কারণে তাঁদের ছেড়ে দিতে বলব। কিন্তু এটি ঘটেনি। আসলে কুলভূষণ যাদবের মামলাটি পাকিস্তানের সুনামের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল’।
কুলভূষণ যাদব ২০১৬ সাল থেকে পাকিস্তানের কারাগারে রয়েছেন। পাকিস্তানের অভিযোগ, কুলভূষণ যাদব ভারতের গুপ্তচর। তবে এই দাবি ভারত বহুবার অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানী সুরক্ষা বাহিনী গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ রা মার্চ বালুচিস্তান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৭ সালে, ভারত আইসিজে-র কাছে এই বিষয়টি জানানো হয়েছিলে। গত বছরের জুলাইয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আদালত পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়ার এবং মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিল।
সালভে বলেছেন যে আমরা এখন ভাবছি যে আমাদের আবার আইসিজে যেতে হবে কিনা। আসলে, পাকিস্তান এ ব্যাপারে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন যে পাকিস্তান এখনও এ বিষয়ে এফআইআর-এর একটি অনুলিপিও শেয়ার করেনি। এ ছাড়া পাকিস্তান চার্জশিটের অনুলিপিও সরবরাহ করেনি। এমনকি বারবার বলার পরেও পাকিস্তান থেকে কোনও প্রমাণ সরবরাহ করা হচ্ছে না।