বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতবর্ষ (India) জুড়ে ধর্মীয় ইস্যুতে একের পর এক বিতর্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আর এর মাঝেই বড়সড় দাবি করে বসলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal)। প্রথমেই তিনি বলেন, “হিন্দু আমাদের পূর্বপুরুষ” এবং এরপরেই সেই সূত্র ধরে ঈদের সময় গরু হত্যা করতে নিষেধও করেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যে গোটা দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতির মানুষ বসবাস করেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এখানে একইসঙ্গে থাকেন। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, সনাতন ধর্মের মানুষেরা গরুকে ‘মাতা’ হিসেবে পুজো করে। ফলে ঈদের সময় আমাদের গোহত্যা থেকে দূরে থাকতে হবে।” একদিকে যখন গোটা দেশ জুড়ে ধর্মীয় সংকট আরো ভয়াবহ রূপ নিয়ে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মুসলিম নেতার এই মন্তব্য সকলের মাঝে সম্প্রীতি গড়ে তুলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
গুয়াহাটির একটি সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আজমল বলেন, “বর্তমানে গোটা দেশকে হিন্দু রাজ বানাতে চাইছে কিছু মানুষ। তারা আমাদের হিন্দুস্তানকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে হিন্দু রাজ কখনোই বাস্তব রূপ নেবে না। গোটা দেশে হিন্দু এবং মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে। তাদের সেই ঐক্য ভাঙা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে, ঈদে যদি একদিন গরু না খাওয়া হয়, তাহলে আমরা মরে যাব না। আমাদের পূর্বপুরুষরা কিন্তু সকলে হিন্দু ছিল। পরবর্তীকালে সেটি ইসলামে পরিবর্তিত হয়েছে। তাই আমাদের উচিত, সকল ধর্মের প্রতি সম্মান বজায় রাখা।”
এরপরেই তিনি গোমাতা প্রসঙ্গে বলেন, “সনাতন ধর্মের মানুষেরা গরুকে মাতা হিসেবে দেখে। ফলে আমাদের ঈদের সময় গোহত্যা করা থেকে দূরে থাকতে হবে।” এছাড়াও এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পয়গম্বর ইস্যু। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে আজমল বলেন, “আমার মনে হয় মুসলিমদের এক্ষেত্রে শান্ত থাকা উচিত। নূপুর শর্মা যে মন্তব্য করেছে, তার জন্য বিক্ষোভ না দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।”