ভালোবাসার “টানে” প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে কিডনি দান প্রেমিকার! সুস্থ হতেই উধাও হলেন যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালোবাসার টানে মানুষ কি না করে! এমনকি, মনের মানুষের সঙ্গে একসাথে থাকতে বহুক্ষেত্রেই সমস্ত সীমা অতিক্রম করে ফেলেন অনেকেই। যদিও, প্রেমে কার্যত “অন্ধ” হয়ে তার চরম মাশুলও পান কেউ কেউ। এমনকি, এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা কার্যত কল্পনাও করা যায়না। সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যেখানে এক যুবতী প্রেমিককে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে দিলেও ওই প্রেমিক তাঁকে কার্যত “ধোঁকা” দিয়ে উধাও হয়ে যান!

আর এই ঘটনাই নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই হতভাগ্য যুবতী। উল্লেখ্য যে, এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলিকে দেখে রীতিমতো বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

জানা গিয়েছে, ওই যুবতী একদম অল্প বয়সেই একজন যুবকের প্রেমে পড়ে যান। কিন্তু, তারপরেই তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর ভালোবাসার মানুষটি একটি ক্রনিক কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ ওই রোগ থেকে রক্ষা পেতে তাঁর দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। এমতাবস্থায়, চিকিৎসকরা জানান যে, ওই যুবতী তাঁর প্রেমিককে কিডনি দান করতে পারেন।

আর তারপরেই ঘটে যায় সেই বিষ্ময়কর ঘটনা। প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে আর কোনোকিছু না ভেবেই তিনি তাঁর একটি কিডনি দান করেন। যদিও, তারপরে সুস্থ হয়েই রীতিমতো উধাও হয়ে যান ওই যুবক। আর এই ঘটনাতেই কার্যত স্তম্ভিত হয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম হল Coleen Lee। একটি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি তাঁর জীবনের এই কাহিনি সকলের সামনে উপস্থাপিত করেন।

কি জানিয়েছেন Coleen Lee:
Coleen জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর কার্যত আচমকাই আলাপ হয়েছিল। যদিও, তাঁরা একে অপরের সাথে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। এছাড়া, Coleen জানতে পারেন যে, তাঁর প্রেমিকের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এমনকি, দ্রুত কিডনি পরিবর্তন না করলে তিনি মারাও যেতে পারতেন। এমতাবস্থায়, তিনি নিজেই কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি সম্পন্ন করেন এবং কিছুটা সময়ের জন্য লাস ভেগাসে বেড়াতে যান।

যদিও, সেখান থেকে ঘুরে আসার পরই আর প্রেমিকের খোঁজ পাননি Coleen। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও ওই যুবককে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, সুস্থ হয়েই তিনি কার্যত পালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে, পুরো বিষয়টি সামনে এসেছে “The Doctors” নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। সেখানেই একটি সাক্ষাৎকারে পুরো বিষয়টি জানান Coleen। এমতাবস্থায়, ওই ভিডিওটি দেখে অবাক হয়েছেন সকলেই। পাশাপাশি, Coleen-এর প্রতি সহানুভূতিও জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর