বাগুইআটিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন তৃণমূল কর্মী! ক্ষোভের মুখে মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের মাঝেই ফের উত্তপ্ত বাংলা। বাগুইআটিতে তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী (Baguiati Tmc worked murder) খুনের ঘটনায় চড়ছে উত্তাপ। সূত্রের খবর, শনিবার বাগুইআটি থানার (Baguiati Police Station) কাছেই বাড়ি থেকে তুুুলে নিয়ে গিয়ে সঞ্জীব দাস নামের তৃণমূল (TMC) কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই ওপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আর গোটা ঘটনায় বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর (Debraj Chakraborty) উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মী সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা বিধাননগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। অভিযোগ, রাতের বেলায় রাস্তার আলো নিভিয়ে তৃণমূল কর্মীকে হত্যা করেছে শাসকদলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকজন। পরিবারের অভিযোগ প্রথমে ইট দিয়ে মারা হয় মৃত কর্মীকে। এরপর জখম অবস্থাতেই টেনে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাতে শাসকলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তার জেরেই প্রাণ হারিয়েছেন সঞ্জীব দাস। এর আগেও মৃত ওই কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের ওপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোটা এই ঘটনায় বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে রাত থেকে ফোন করার পরেও কাজ হয়নি। রাত আড়াইটে থেকে ক্রমাগত ফোন করার পরও সাড়া নেননি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী।

তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পর রবিবার সকালে দেবরাজবাবু স্থানীয়দের ফোন করতেই তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ওই এলাকা থেকে আর একটাও ভোট দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়িকা অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে। এরপরই পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

tmc flag

আরও পড়ুন: সূর্যের তাপে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ! তবুও এই ৩ এলাকায় উত্তরের ফিলিং, গরম অনেক কম: আবহাওয়ার খবর

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে শাসকদলের দ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়েছে পুলিশ। পাল্টা তাদের দাবি, মদ খেয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর