একটিবার শোভনকে দেখার আর্জি নিয়ে প্রেসিডেন্সির ফটক ধরেই কান্নাকাটি বৈশাখীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতকাল নারদ মামলায় নাটকীয় মোড় দেখা যায়। সন্ধের দিকে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামিনে মুক্ত করে। এরপর সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়ে। হাইকোর্ট সিবিআই-এর যুক্তি শুনে ধৃত চার নেতার জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে। এরফলে সন্ধেয় মুক্তি পাওয়া নারদ মামলায় অভিযুক্তরা রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থায় কাটায়।

প্রেসিডেন্সি জেলে বন্ধু শোভন বন্দি হওয়ার খবর শুনে সেখানে ছুটে যান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলের ফটক ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দেন তিনি। জেলের ফটকে ধাক্কা মারতে মারতে বৈশাখী কাতর আর্জি করে শোভনকে একটিবার দেখার জন্য ছটফট করেন। বলে দিই, কলকাতা হাইকোর্ট আগামী বুধবার পর্যন্ত ধৃত চার নেতাকে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়া মাত্র সুব্রত, মদন, ফিরহাদের সঙ্গে শোভনকে মাঝরাতে নিজাম প্যালেস থেকে সরিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায় সিবিআই। কড়া নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করেই স্পেশ্যাল কনভয়ের মাধ্যমে নিজাম প্যালেস থেকে একেবারে চার অভিযুক্তকে নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে হাজির হয় সিবিআই। সেই সময় প্রেসিডেন্সিতে ঢুকতে গেলে গেটেই আটকে দেওয়া হয় শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বৈশাখী অনেক চেষ্টা করেন প্রেসিডেন্সি চত্বরে ঢুকতে, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এরপর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে ওনার। তিনি কাতর আবেদন করে বলেন, ‘একটিবার শুধু দেখতে দিন আমায়। অন্তত ওষুধটা দিতে দিন। আপনারা অমানুষের মতো ব্যবহার করছেন। ওনার হাই সুগার থাকার পরেও কিছু খেতে দেন নি।” এরপর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জেলের ফটক ধাক্কাতে ধাক্কাতে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা কি করছেন ওনার সঙ্গে? আমাকে একবার ঢুকতে দিন।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর