বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতকাল সন্ধে বেলায় নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও ছাড়া পাননি নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাতে কলকাতা হাইকোর্ট ধৃতদের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে। এরফলে চার অভিযুক্তর বুধবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়। হাইকোর্টের নির্দেশের পর নিজাম প্যালেস থেকে সরাসরি চার অভিযুক্তকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাতের বেলাতেই শোভনকে দেখার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে কান্নাকাটি শুরু করেন শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলের ফটক চাপড়ে ওনাকে কাঁদতে দেখা যায়। উনি বারবার আবেদন করেন জেলে ঢোকার জন্য, কিন্তু জেল প্রশাসন ওনার আবেদনে কর্ণপাত করে না। বৈশাখী বলেন, একটিবার দেখতে দিন ওকে, ওঁর ওষুধগুলো দিতে দিন আমায়। ও সুগারের রোগী। যদিও, তাতে চিরে ভেজেনি।
এরপর ভোররাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত মদন মিত্র আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্ট থেকে সরিয়ে এসএসকেএম-এ চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈশাখী প্রেসিডেন্সিতে ঢুকতে না পারলেও, এসএসকেএম-এর শোভনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুনে, সেখানে দৌড়ে চলে যান।
এসএসকেএম-এর ১০৬ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে শোভনবাবুকে। আর তাঁর পাশের কেবিনেই ভর্তি হতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেন যে, ওনাকেও যেন হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। বৈশাখীর এই আবেদনে বিপাকে পড়ে যান ডাক্তাররা। ওনাকে বোঝাতে হিমিশিম খান সবাই। রোগী দেখা বাদ দিয়ে, ওনাকে বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এভাবে কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব নয়। সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, প্রথমে এমার্জেন্সিতে যেতে হয়, এরপর টিকিট ইস্যু হয়। টিকিট ইস্যুর পর রোগী যদি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে চান, তখন তাঁর জন্য বিশেষ কেবিনের বন্দোবস্ত করা হয়। VIP দের ক্ষেত্রে এই নিয়মে কিছুটা ছাড় আছে, তবে তাঁর আগে তাঁকে অসুস্থ তো হতে হবে? বৈশাখী ভিআইপি হলেও অসুস্থ না। সেই কারণে এ যাত্রায় ওনার আর SSKM -এ ভর্তি হওয়া হল না।