বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তম-সুচিত্রার জুটির মতই বর্তমানে রাজনীতির জগতে বৈশাখী-শোভন জুটি বহু চর্চিত। জীবনের মধ্য বয়সে এসে পুরনো সম্পর্ক ভেঙে শোভন-বৈশাখী নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। বয়স যতই তাদের ঊর্ধ্বমুখী হোক, এদের ভালোবাসার কাছে হার মানবে যৌবনে পা দেওয়া সদ্য প্রেমিক-প্রেমিকাও।
কিছুদিন আগেই ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chatterjee) ৫৯ তম জন্মদিন। সেই জন্মদিন সেলিব্রেশানের ছবি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee) ভাগ করে নেন সোশ্যাল মাধ্যমে। তবে বৈশাখীর লেখা একটি বিশেষ ক্যাপশন নজর কাড়ে নেটিজেনদের। সেখানে বৈশাখী শোভনের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘দুষ্টুর জন্মদিন।’
বৈশাখীর কথায়, “যখন শোভন মহুলের সাথে থাকে তখন ওর অনেক অচেনা দিক আমি দেখতে পাই। একদিন মহুলকে পড়ানোর সময় আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। বকাবকি করছিলাম মহুলকে। এমন সময় শোভন মহুলকে কাছে ডেকে নেয়। দেখি কি সুন্দর কেটে কেটে ওকে রাইমস মুখস্থ করিয়ে দিল! অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি। এই গুণটাও যে ওর আছে জানতাম না।”
কিন্তু কীভাবে শোভনের নাম দুষ্টু হল? বৈশাখী আর শোভন একবার সেই কথা জানিয়েছিলেন নিজেদের মুখেই। শোভন বলেন, “এমনিতে খুব সিনসিয়ার বাচ্চা মহুল। ও হয়তো মেয়ে হতে পারে, কিন্তু ওর বয়সে তো আমিও ছিলাম। দুষ্টু ছিলাম। দুষ্টু টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি ছিলাম বলা যায়। এই দুষ্টুমি করতে করতে আমার নাম দুষ্টু হয়ে গেছে।”
এরপর বৈশাখীর সংযোজন, “তাহলে বাংলার মানুষ বুঝতেই পারছেন আমার বাড়িতে দুটো দুষ্টু রয়েছে। আমিই একমাত্র ভালো মেয়ে।” বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন আরও বলেছিলেন, “নিজের মেয়ের মত শোভন মহুলকে আপন করে নিয়েছে। শোভনই ওকে শিখিয়েছিল তুই আমাকে দুষ্টু বলবি, আমিও তোকে দুষ্টু বলব। আমরা দুষ্টুমি করব দুজনে।”