বাংলাহান্ট ডেস্ক : পয়গম্বর বিতর্কে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। দেশের সীমান পেড়িয়ে উত্তাপের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দাল রা ক্রমাগত পাচ্ছেন খুনের হুমকি। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে বাংলায় জ্বলেছে প্রতিবাদের আগুন। সম্প্রতি দিল্লিতে নূপুর শর্মার পক্ষে পোষ্টার দেওয়ায় সেই সমস্ত পোষ্টার ছিঁড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এই কাণ্ডের মাথাদের। কিন্তু নূপুর শর্মাকে সামনে রেখে হিন্দুত্ববাদের পতাকা তুলে ধরতে এবার ময়দানে নামছে বজরং দল।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছে বজরং দলের কর্মীরা নবীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ করবে। আরএসএসের সহযোগী বলেছে তাদের যুব শাখার কর্মীরা শুক্রবার সারা দেশে জেলা প্রশাসনের সদর দফতরে ‘ইসলামী জিহাদি মৌলবাদীদের দ্বারা ক্রমবর্ধমান চরমপন্থী ঘটনার’ বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ করবে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছেও একটি স্মারকলিপি জমা দেবে বলেই পরিষদ সূত্রে খবর।
ভিএইচপি-এর দিল্লির শাখা একটি মন্দিরে সমবেত হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে দেশের কিছু অংশে ১০ জুনের হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হনুমান চালিসার গণ পাঠে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ বিশ্বব্যাপী ভারতকে বদনাম করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১০ জুন মসজিদে প্রার্থনার পরে সহিংস বিক্ষোভ করা হয়েছিল। এমনকি মন্দির ও বাড়িতে পাথরও ছোঁড়া হয় বলেই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।
দিল্লি ভিএইচপি প্রধান কপিল খান্না বলেন ‘নুপুর শর্মার হত্যার জন্য অবৈধ ফতোয়া জারি করা হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ধরনের অবৈধ বিক্ষোভের কারণে হিন্দু সমাজের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এই প্রচেষ্টারও দৃঢ়ভাবে নিন্দা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।’ শুধু তাই নয়, মন্দিরের ম্যানেজার এবং পুরোহিতদেরও অনুরোধ করা হয়েছে যারা শুক্রবারের কর্মসূচির কথা ভক্তদের জানানো। ইসলাম সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ এবং তার উপর বজরং দলের এই কর্মসূচি নিসন্দেহে বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।