বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছর প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ই সকলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে। তবে আপনি যদি ছুটি পেয়ে না থাকেন এবং ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকে, তাহলে সপ্তাহের শেষে পরিবার ও প্রিয়জনকে নিয়ে গাড়িতেই বেরিয়ে পড়তে পারেন লং ড্রাইভে। কিন্তু লং ড্রাইভ করে কোথায় যাবেন তা যদি চিন্তা থাকে তাহলে আর চিন্তার কিছু নেই। কারণ মাত্র তিন ঘন্টার পথ পেরিয়ে আপনি পৌঁছিয়ে যাবেন দক্ষিণবঙ্গের ডুয়ার্স। অর্থাৎ বাঁকুড়ায় (Bakura)। এখানে গেলে আপনি একদিকে যেমন দুদিন শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পারবেন। তেমনি প্রাণভরে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
লং ড্রাইভের প্ল্যান? ঘুরে আসুন দক্ষিণবঙ্গের ডুয়ার্স (Bakura)
একদিকে বছর শেষ হতে আর হাতে গুনে কটা দিন। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে বেশ জাকিয়ে বসেছে শীত। এই সময় প্রত্যেকেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি অফিসে ছুটি ম্যানেজ করতে না পারেন, তাহলে পরিবার ও প্রিয়জনকে নিয়ে গাড়িতে বেরিয়ে পড়ুন বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে (Bakura)।

আরও পড়ুন: শীতের বাজারে ভেজাল খেজুর গুড়ের রমরমা! আসল-নকল চেনার সহজ পদ্ধতি জানুন
কারণ আপনাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে শুধুমাত্র যে উত্তরবঙ্গেই যেতে হবে তার কোন মানে নেই। আপনি প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে যেতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়ায়। এখানে আসলে পরে আপনি দেখতে পারবেন দক্ষিণ বঙ্গের ডুয়ার্স।
সবুজে ঘেরা পাহাড়, জঙ্গল, হ্রদ সবকিছুই পাবেন এখানে। পাশাপাশি শীতের সময় এখানে আসলে পরে আপনি যেতে পারবেন মুকুটমণিপুর ও ঝিলিমিলি। তাছাড়া দক্ষিণবঙ্গ বাসীদের কাছে এই জায়গাটি দক্ষিণবঙ্গের ডুয়ার্স নামেও পরিচিত। কলকাতা থেকে ঝিলমিলের দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। সকালবেলা আপনি যদি বেরিয়ে পড়েন তাহলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছিয়ে যাবেন এখানে। তবে যাত্রাপথে কিছুক্ষণের জন্য চাইলে আপনি বিরতি নিতে পারেন।
কী কী দেখবেন?
এখানে গেলে পরে আপনি শাল-পিয়ালের জঙ্গলে ঘেরা নিরিবিলি এই জায়গাতে এলে কিভাবে সময় কেটে যাবে তা আপনি কোনভাবেই বুঝতে পারবেন না। দূরে সবুজে মোড়া ছোট ছোট টিলা ও পাখির কল কাকলি শুনি আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। চাইলে আপনি বিকেলের দিকে ঘুরে আসতে পারেন এখানকার আদিবাসী গ্রাম গুলো। পাশাপাশি লালমাটির পথ ধরে ঘুরে আসতে পারেন তালবেড়িয়া ড্যাম (Bakura)।












