Bangla Hunt Desk: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবারই কলকাতায় ফিরছেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)। এমনকি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও যোগ দেবেন বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party)। তথাগতর এই ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
উঠছে নানান প্রশ্ন
তথাগত রায়ের মেঘালয় থেকে কলকাতা ফিরে বিজেপিতে যোগ দেবার বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চাইছেন? বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন, তথাগত যদি চায়ও, তাহলে কি বিজেপি আবার তাঁকে গ্রহণ করবে?
Spoke to Dilip Ghosh,Kailash Vijayvargiya,Subrata Chatterjee & Shiv Prakash today. Told them of arriving tomorrow at 4 pm,will be seeing them in 3/4 days to rejoin BJP. They all welcomed me but warned me of the Covid situation in Kolkata and asked me to take care. I am grateful.
— Tathagata Roy (@tathagata2) August 22, 2020
তথাগত রায়ের ট্যুইট
শনিবার রাতে তথাগত রায় নিজেই এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমি রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতায় ফিরছি। ফিরে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই আবার বিজেপিতে যোগ দেব। দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ সকলেই আমাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সেইসঙ্গে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করেছেন’।
ষড়যন্ত্রের আভাষ
তথাগত রায়ের বিজেপিতে ফিরে আসার ঘটনায় বিজেপির অন্দরেই জল্পনা তুঙ্গে। পূর্বে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে ফেসবুকের কথোপকথনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তিনি নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। শিক্ষাগত এবং অভিজ্ঞতায় দিলীপ ঘোষের থেকে তথাগত রায় এগিয়ে থাকলেও, দিলীপ ঘোষের আমলেই লোকসভা ভোটে প্রথমবার ১৮টি আসন লাভ করতে পেরেছিল বিজেপি। অনেকে ধারণা করছেন, তথাগত রায়কে দলে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করতে চাইছে একাংশের বিজেপি।
কিছু লোক প্রচার করছে আমি নাকি আবার বিজেপিতে যাচ্ছি বিজেপির ভিতরে ঝগড়া করার জন্য |
এটা যদি মূর্খতার জন্য হয় তাহলে ঠিক আছে |
আর যদি বদ উদ্দেশ্যে হয় তাহলে তো বলবো এরা প্রশান্ত কিশোরের গুপ্তচর |— Tathagata Roy (@tathagata2) August 22, 2020
জল্পনার অবসান ঘটায় তথাগত
এসব জল্পনারও সবসান হয় তাঁর এক ট্যুইটে। তিনি লেখেন, ‘কিছু মানুষ ভুল বার্তা প্রচার করছে। তারা বলছে, আমি বিজেপির ভিতরে দ্বন্ধ বাধাবার জন্য আবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। তবে বলব তারা যদি মূর্খতার ভিত্তিতে এসব করে থাকে, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু তা না করে যদি হিংসা ছড়াতে উদ্যত হয়, তাহলে বলব এরা প্রশান্ত কিশোরের গুপ্তচর’।