লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, ভোটের আগে চমক আসতে পারে রাজ্যের ‘এই’ প্রকল্পে, উপকৃত হবেন ১৬ লক্ষ

Published on:

Published on:

bangla awas yojana(1)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তার আগে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে জল্পনা চলছে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার নিয়ে বড়সড় সুখবর দিতে চলেছে রাজ্য। তবে এদিকে অন্য আপডেট সামনে আসছে। শোনা যাচ্ছে, ভোটের আগে বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) নিয়ে চমক দিতে পারে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন।

বাংলার বাড়ির টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি | Bangla Awas Yojana

কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। বহু আর্জি, চিঠি, হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় নিজের কোষাগার থেকেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল যে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলার ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেওয়া শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তাদের মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। দুই কিস্তিতে উপভোক্তারা টাকা পান। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার, আবার দ্বিতীয় কিস্তিতেও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। সূত্রের খবর, ছাব্বিশের ভোটের আগে চলতি ডিসেম্বর থেকে ফের ১৬ লক্ষ পরিবারকে বাড়ির টাকা দেওয়া শুরু করবে মমতা সরকার। অর্থাৎ ভোটের আগেই বাংলায় মোট ২৮ লক্ষ (১২লক্ষ + ১৬ লক্ষ) পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় টাকা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় অনুদান দিতে পারলে, ক্ষতিপূরণ দিতে বাধা কেন? মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাজ্যকে তিরস্কার হাই কোর্টের

তবে রাজ্যের যে কোনও পরিবার এই অর্থ পাওয়ার যোগ্য নয়। বেশ কিছু শর্ত রয়েছে এক্ষেত্রে। যাদের আগে থেকেই পাকা বাড়ি আছে বা যাদের সরকারি চাকরি, ব্যবসা বা আয়ের নির্দিষ্ট সীমা (১৫ হাজার টাকা মাসিকের বেশি) অধিক তারা এই সুবিধা পাবেন না। পাশাপাশি আয়কর বা প্রফেশনাল ট্যাক্স প্রদান করা পরিবারও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ির টাকা দিয়ে দিয়েছি। আরও ১৬ লক্ষ করে দেব।” আগামী তিন চার বছরের মধ্যে সবটা করে দিতে পারব বলে উপভোক্তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বর থেকেই ১৬ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া শুরু হতে পারে।