চন্ডিগড় এর বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র 233 রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। আর তারপর অধিনায়ক সৌরাশিস লাহিড়ী বাংলার অন্যতম প্রধান বোলিং অস্ত্র ঈশান পোড়েলকে ডেকে বলেছিলেন যে করেই হোক এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় তুলে আনতে হবে। আর তার প্রতিউত্তরে ঈশান পোড়েল বলেছিলেন চিন্তা কোরো না আমরা নিজেদের সবটুকু দিয়ে এই ম্যাচে চন্ডিগড় এর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে আনবো সেটাই করে দেখালেন বাংলা ক্রিকেটাররা।
আর এই কম রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে নিজেকে এক অন্য মাত্রায় প্রতিস্থাপন করলেন ইশান্ত পড়েল। দুর্দান্ত বোলিং দাপুটে চন্ডিগড়ের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিলেন ঈশান পোড়েল। প্রথম স্পেলেই পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন বল হাতে উনার দক্ষতা কতটুকু। বাংলা দুই বোলার ঈশান পোড়েল এবং আকাশ দ্বীপের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে মাত্র 26 রানে 7 উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চন্ডিগড়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি চন্ডিগড় এর পক্ষে। ফলে এই ম্যাচে সহজ জয় পায় বাংলা। এই দিন বাংলার 233 রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র 83 রানেই অলআউট হয়ে যায় চন্ডিগড়। আর বাংলার এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে ঈশান পোড়েলের আগুনে বোলিং। এই ম্যাচে 7 ওভার বল করে মাত্র 18 রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ঈশান পোড়েল। রবিবার বাংলার প্রতিপক্ষ গুজরাট।
বাংলার অধিনায়ক সৌরাশিস লাহিড়ী বলেন যে ঈশান দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। এত কম রান হাতে নিয়েও যে ঈশান এত ভালো বল করে তিনি এতটা সাফল্য পাবেন সেটা ভাবতে পারিনি। সেই সাথে সৌরাশিস বলেন যে চন্ডীগড়ের কোনো ব্যাটসম্যান ঈশানের সুইং এবং বাউন্সার সামলানোর মত দক্ষতা দেখাতে পারে নি। অপরদিকে ঈশান পোড়েল বলেন যে আমি শুধু নিজের স্বাভাবিক ভাবেই বোলিং করে চলেছি। তবে বাংলার কোচ জানিয়েছেন যে এখনই তারা কোনো রকম আনন্দ করতে তারা চান না, ফাইনাল ম্যাচ জিতেই তারা উৎসবে মেতে উঠবেন বলে জানিয়েছেন।