বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সীমান্তের অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থিত লালমনিরহাট এয়ারবেসে সামরিক কার্যক্রম ব্যাপক হারে ত্বরান্বিত করেছে। এই বিমানঘাঁটিটি ভারতের অত্যন্ত সংবেদনশীল সিলিগুড়ি করিডোর তথা ‘চিকেন নেক’-এর মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত, যা ভারতীয় নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নর্থ ইস্ট টুডে-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রঙ্গপুর বিভাগে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও সেনা বিমানচালনা গ্রুপ সম্প্রতি শক্তিশালী ফ্লাডলাইট স্থাপন, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং নজরদারি পদ্ধতি শক্তিশালী করেছে। এছাড়াও, ঘাঁটির চারপাশের সীমানা প্রাচীরে শক্তিশালী ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়েছে, যাতে রাতেও সন্দেহভাজন কার্যকলাপ নজরে আনা যায়।
ভারত সীমান্তের অদূরেই সামরিক বিমানঘাঁটি স্থাপন বাংলাদেশের (Bangladesh):
বাংলাদেশের (Bangladesh) এই বিমানঘাঁটির অভ্যন্তরে একটি বিশিষ্ট হ্যাঙ্গারের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র কংক্রিটের মেঝে ছাড়া বাকি সব কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। এই হ্যাঙ্গারটি অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড এরোস্পেস ইউনিভার্সিটির দিকে অবস্থিত এবং ভবিষ্যতে এটিকে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েন ও পরিচালনার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও, ঘাঁটিটির ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়েটিও শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে খবর। বিমানবাহিনীর কর্মীরা দ্রুত চলাচলের জন্য সাইকেল ব্যবহার করছেন এবং ১,১৬৬ একর জুড়ে বিস্তৃত এই সামরিক ঘাঁটিতে চব্বিশ ঘণ্টাই টহল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:একটা সমস্যাই বদলে দিল জীবন! ছত্তিশগড়ের এই দুই ভাই যা করলেন… এখন হচ্ছে কয়েক কোটির উপার্জন
বাংলাদেশের (Bangladesh) এই কার্যকলাপ ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে, ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ২২ নভেম্বর শিলিগুড়িতে এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকও করেছেন। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি করিডোর হল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্তকারী একটি অত্যন্ত সংকীর্ণ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত ইতিমধ্যে কৌশলগত জবাব দিতে শুরু করেছে এবং বিহারের কিশানগঞ্জ, আসামের ধুবরি জেলার বামুনী এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন:সীমান্তে নাকি ২০০ অনুপ্রবেশকারীর ভিড়! বাস্তব নাকি গুজব? সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হাকিমপুরে রাজ্যপাল
এই পুরো বিষয়টি নিয়ে গত ৪ নভেম্বর থেকে আলোচনা আরও তীব্র হয়, ঠিক তখন যখন এই নির্মাণ কাজ প্রথমবারের মতো স্থানীয় প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এর তদন্ত শুরু করে। গত এক বছরে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ ইউনূস এই বিমানঘাঁটি উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততার অনুমোদন দিয়েছেন। যদিও বর্তমানে এই নির্মাণকাজে সরাসরি চীনের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত নয়। গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান লালমনিরহাট এবং ঠাকুরগাঁও এয়ারবেস পরিদর্শন করেন, যে সময়ে ভারতের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের তিনজন কর্মকর্তাও বাংলাদেশ সফর করছিলেন।












