বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের (Bangladesh)। তবে স্বাধীনতার এতগুলো বছর কেটে গেলেও নিজেদের মুদ্রাও তৈরি করতে পারে না এই দেশটি। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় মুদ্রা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বাংলাদেশের কয়েন (Bangladesh Coins) কোথায় বানানো হয়?
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ক্রমশ তিক্ত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক। বারংবার বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার একাংশ নানান ভাবে অপদস্থ করতে চাইছে ভারতকে। এমনকি সে দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে হিন্দুদের সুরক্ষা।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের কিছু প্রাক্তন সেনাবাহিনীর কর্মী হুমকির সুরে বলেন যে তারা কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেবেন! তবে এতকিছুর পরেও বাংলাদেশের সক্ষমতা ভারতের থেকে বহুগুণ পিছিয়ে। এমনকি এই দেশের মুদ্রাও (Bangladesh Currency) তৈরি হয় বিদেশে। দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড ছাপিয়ে থাকে বাংলাদেশের নোট।
আরোও পড়ুন : এবার হবে ডবল চেকিং! লক্ষ্মীর ভান্ডার-কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়ার নিয়ম বদলালো নবান্ন
তবে অবাক করে দেওয়া তথ্য হল, বাংলাদেশে কয়েন (Bangladesh Coins) তৈরির পরিকাঠামো বা যন্ত্রপাতি নেই। তাই বিদেশ থেকে কয়েন আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। একটি সংবাদমাধ্যমকে এই ব্যবস্থাপনার পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, বাংলাদেশে ধাতব মুদ্রা (Bangladesh Coins) উৎপাদন লাভজনক নয়।
আরোও পড়ুন : বিনীতের মামলায় বড় সিদ্ধান্ত! সুপ্রিম কোর্ট এবার যা বলল…তোলপাড় রাজ্য
তাই নিজের দেশে কয়েন উৎপাদন করার তাগিদ অনুভব করেনি সরকার। জানলে হয়ত অবাক হবেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে বিদেশ থেকেই কয়েন তৈরি করে আনে বাংলাদেশ। বিবিসির একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার ২০১১-১২ অর্থবর্ষে তিনটি অঙ্কের ধাতব মুদ্রা তৈরি করে আনিয়েছিল বিদেশ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তা মি. আহমেদের একটি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার ২০১১-১২ সালে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার কয়েন তৈরি করিয়েছিল বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে।মুদ্রা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল অন্যান্য দেশের উপর। রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ সরকার ১ টাকার কয়েন স্লোভাকিয়া থেকে, ২ টাকার কয়েন জাপান থেকে এবং ৫ টাকার মুদ্রা ফিনল্যান্ড থেকে তৈরি করিয়ে থাকে।