বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের (Bangladesh) তিনটি ভিসা কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা। মঙ্গলবার থেকে আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনসুলার পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দিল্লি ও শিলিগুড়িতেও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অনিবার্য কারণে’ এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও, কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। উল্লেখ্য, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।
ভারতের পরপর তিনটি ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করলো বাংলাদেশ (Bangladesh)
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এলো যখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপড়েন দৃশ্যমান হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ প্রসঙ্গে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে উত্তেজনা এবং চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশন লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপের মতো ঘটনার কথা ভারতের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন:মা শব্দ কি সাম্প্রদায়িক? পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা টেনে লগ্নজিতার পাশে মিঠুন
অন্যদিকে, বাংলাদেশের দৃষ্টিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে সম্প্রতি বিক্ষোভকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এবং ভারত সরকারের তরফ থেকে ঘটনাটি ‘সরলীকরণ’ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে। বাংলাদেশের এই বিবৃতির পরের দিনই ভারতের তিনটি ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা।
শিলিগুড়ি প্রসঙ্গে, সোমবার শহরে ময়মনসিংহে দীপুচন্দ্র দাস হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম মুখ লক্ষ্মণ বনসল দাবি করেন, ভিসা কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পরই এই কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। অথচ শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক মিশন নেই এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ভিসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: নিরামিষ পোলাও খেয়ে মুখে চর পড়েছে? স্বাদ বদল করতে বানিয়ে ফেলুন ভিন্ন ধরনের এই রেসিপিটি
বন্ধ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ বাংলাদেশে ভ্রমণ ও কাজের জন্য ভিসা পেতেন। ফলে এই সিদ্ধান্ত সরাসরি সাধারণ মানুষের যাতায়াতে প্রভাব ফেলবে। উভয় দেশের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের অনুমান।












