বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালি মাত্রেই প্রিয় মাছ ইলিশ (Hilsa Fish), সে এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা। বর্ষা আসলেই বাঙালির মন উচাটন হয় রূপোলি শষ্যের জন্য। কিন্তু ইলিশ মাছের রানী বলে কথা, দাম প্রতিবারই থাকে চমকে দেওয়ার মতো। তবে এবছর ইলিশের (Hilsa Fish) যা দাম চলছে বাজারে, তাতে রীতিমতো ছ্যাঁকা খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। বিশেষ করে এবছর পশ্চিমবঙ্গকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের ইলিশের দাম।
বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে ইলিশের (Hilsa Fish) দাম
বাংলাদেশি দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, সে দেশের রাজধানী ঢাকা সহ প্রায় সর্বত্রই ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কার্যত আগুন। অনেক ক্রেতা বিক্রেতাদের মতে, গত অন্তত ১৭ বছরে এমন মাত্রা ছাড়া দাম দেখা যায়নি ইলিশের। এই মাছ বরাবরই দামের দিক দিয়ে ‘অভিজাত’, তবে এবছর যেন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইলিশের (Hilsa Fish) দর। অথচ প্রতি বছরই প্রচুর ইলিশ ওঠে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন বাজারে। পদ্মার ইলিশের কদর এপার বাংলাতেও কম নয়।
কত দাম ঢাকার বাজারে: বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার খুচরো বাজার গুলিতে ৫০০ গ্রামের ছোট ইলিশও (Hilsa Fish) বিক্রি হচ্ছে কেজিতে প্রায় ১,৪৫০-১,৬০০ টাকায়। এক কেজির দাম শুরুই ২,৬০০ টাকা থেকে। আকারে বড় হলে দামও চড়ছে সেই অনুপাতে। মোটামুটি ৭০০-৮০০ গ্রামের উপরে উঠলেই দাম চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে।
আরও পড়ুন : বেঙ্গল টপার হয়েই চমক, রাতারাতি নতুন নায়কের এন্ট্রি ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’তে
কলকাতায় দাম কম: এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাজার গুলিতে ছবিটা কিছুটা অন্যরকম। কলকাতায় ৫০০ গ্রামের একটি একটি ইলিশের (Hilsa Fish) দাম প্রায় ৬০০-৭৫০ টাকা। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১,০৫০ টাকা। অর্থাৎ একই আকারের মাছের দাম বাংলাদেশের তুলনায় এপার বাংলার বাজারে অন্তত ৪০০ টাকা কম। কিন্তু ইলিশের (Hilsa Fish) দামের এমন বাড়বাড়ন্তের কারণ কী?
আরও পড়ুন : ‘কুণাল ঘোষের আগেও কৌস্তভ বাগচীকে চিনতাম’, তৃণমূল নেতার দাবি নস্যাৎ করে সপাট উত্তর অভয়ার বাবার
উল্লেখ্য, সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছের অবাধ প্রজননে যায় বাধা না পড়ে তাই বাংলাদেশের জলসীমায় এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল ২০ শে মে থেকে ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত। আর ভারতীয় জেলেদের জন্য তা ছিল ১৫ ই এপ্রিল থেকে ১৩ ই জুন পর্যন্ত। এতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই ভারতের সঙ্গে মিল রেখে চলতি বছর থেকেই বাংলাদেশে ১৫ ই এপ্রিল থেকে ১১ ই জুন পর্যন্ত চালু করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ বিষয়ে নাম গোপন রেখে একজন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁদের নির্ধারণ করা সময়টাই অধিক বিজ্ঞানসম্মত ছিল। নতুন সময় নির্ধারণ করায় কতটা লাভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।