বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ (Hilsa Fish) আসার কথা রয়েছে ভারতে। শারদীয়ায় বাংলাদেশের ইলিশ পাতে উঠবে ভেবেই খুশি এপার বাংলার ভোজনরসিকরা। এদিকে হরেক রকমের মাছ, সুস্বাদু ইলিশের (Hilsa Fish) জন্য জনপ্রিয় বাংলাদেশ এবার কার্যত ধুঁকছে ইলিশ শূন্যতায়। সাগর, নদীতে মাছের অভাব। ইলিশের (Hilsa Fish) জন্য জনপ্রিয় নদীগুলিতে জাল ফেললেও হাতে আসছে না রূপোলি শষ্য। বা সামান্য পরিমাণে উঠলেও বাজারে তার এমনই দাম উঠছে যে তা মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে এবার ইলিশের (Hilsa Fish) খরা
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উপকূলীয় জেলা বরগুনা, যা মূলত ইলিশের (Hilsa Fish) ভাণ্ডার হিসেবে জনপ্রিয়, এবার ভরা মরশুমেও সেখানে দেখা নেই রূপোলি শষ্যের। বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিলিত হওয়া বিষখালী, পায়রা, বলেশ্বর নদী থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa Fish) ধরা হয়। সেখানে এবছর মাছের পরিমাণ এসে ঠেকেছে অর্ধেকে! আগে এই নদীগুলি থেকে আহরণ করা মাছ বাংলাদেশের প্রচুর জোগান মেটাত। কিন্তু এখন সেই পরিমাণ কমে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
কেন এই পরিস্থিতি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন সহ একাধিক কারণ। অভিযোগ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরম জল সরাসরি পড়ছে নদীর জলে। উপরন্তু দেদারে দূষণের কারণে জলে প্রচুর পরিমাণে পলিথিন, বর্জ্য পদার্থ জমা হয়েছে। বিভিন্ন নদীগুলিতে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ডুবোচর তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে এখানেই জাঁকিয়ে বসেছিলেন, ৩৮ জন অবৈধ বাংলাদেশিদের তালিকা গেল নির্বাচন কমিশনে
নদীতে আসছে না ইলিশ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশ নোনা জলে থাকে এবং প্রজননের সময় মিষ্টি জলে এসে ডিম পাড়ে। কিন্তু নদীগুলিতে ডুবোচর তৈরি হওয়ায় এবং ক্রমাগত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরম জল মেলায় নদীতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ইলিশ (Hilsa Fish)। তার জেরে সংখ্যা কমছে মাছের।
আরও পড়ুন : বাড়ল সময়সীমা, কতক্ষণ পর্যন্ত জমা করা যাবে আয়কর রিটার্ন? এল নতুন আপডেট
এছাড়াও ভুল জালের ব্যবহার, মা ইলিশ ধ্বংস করার মতো কারণের জেরেও প্রচুর ইলিশ কমে গিয়েছে নদীতে। এমতাবস্থায় দূষণ কমানো এবং নদীগুলি খননের ব্যবস্থা করানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।