বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসে (Corona vairas) আক্রান্তের সংখ্যা চীনে (Chaina) দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় চীনের স্বাভাবিক জনজীবন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনই বিপর্যয়ের মুখে চীনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও। যেসব দেশ ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চীনের উপর নির্ভর করে থাকত, তারাও এখন বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছে। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশও (Bangladesh) চীন থেকে আমদানি পণ্যের বিকল্প বাজার খুঁজছে। তবে চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার না খোঁজার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এই চীন থেকে আগত দ্রব্যের জন্য বিকপ্ল বাজার খোঁজার এবং দেশের সন্ত্রাস, মাদক এবং জঙ্গিবাদের মত ধর্ষকদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি সরকারকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তিরা মানুষের নামের কিছু পশু ছোট শিশু থেকে শুরু করে মেয়েদের ধর্ষণ করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
চীনের থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের ব্যাপারে বলেন, ‘চীন বা যেসব দেশে এই করোনা ভাইরাস দেখা গিয়েছে, সেসব দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসলে তার সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছি এই ভাইরাস নিয়ে কেউ ঢুকছে কিনা। কোন ব্যক্তিকে সামান্যতম সন্দেহ হলে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোয়ারান্টাইনে রেখে তারপর ছাড়া হচ্ছে। তবে সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে চীন থেকে আমাদের যে কাঁচামাল আসত, সেগুলো নিয়ে। কাঁচামালের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক এবং এর জন্য আমরা বিকল্প কোন ব্যবস্থা খুঁজছি।’
করোনা ভাইরাসের ফলে চীনের অর্থনীতি অনেকটাই প্রভাবিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে বিকল্প বাজার না খোঁজার আবেদন জানানো হয় বেজিং-র (Beijing)পক্ষ থেকে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে চলা চীনা প্রকল্পগুলিতে পড়তে পারে জানায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং (Lee Jimming)। চীনের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত (India) তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তবে চীনের এই দ্রব্য রপ্তানির বাজারে মন্দা দেখা দেওয়ায়, ভারত কিছুটা লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকে। ভারত এই সময় বিভিন্ন কাঁচামাল নিজেদের দেশে উৎপন্ন করে বাইরের দেশগুলোতেও পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে করে বিশ্বে ভারতের মান উন্নত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।