বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতকে উপদেশ দিল বাংলাদেশ। সাধারণ নাগরিকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ভারত নাকি আগ্রাসী নয়, তাই তাদেরকে এই বিষয়ে দৃষ্টি আরোপ করার পরামর্শ দিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানান, জীবনধারনের ক্ষেত্রে ধর্মের স্বাধীনতা এবং ধর্ম সম্বন্ধিত আইনের ধারাগুলির নিরপেক্ষ নীতি দেশে শান্তি ও স্থায়িত্ব আনবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি এসেছেন ভারত সফরে। বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন গতকাল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উঠে এসেছিল নানান প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন। শুধু ভারত নয়, সব দেশেই এই বিষয়টির অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
এই সময়ে দেশের বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকা ধর্মীয় এবং সংখ্যালঘু ভিত্তিক সংকটের নমুনা দেখা গেছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রির ভাষণ মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বিদেশ মন্ত্রক। যদিও কোন মন্তব্য পেশ করেনি বিদেশ মন্ত্রক।
বেঙ্গালুরুর ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবার সময় বাংলাদেশের মন্ত্রী দীপু মণি বলেন, “ভারত বিশ্বের অন্যতম সম্মানীয় দেশ। তাদের সংবিধান প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নগুলিকে এবার উপলব্ধি করতে হবে।” তাঁর কথায়, “নাগরিকদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং তাদের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, ওবিসি এবং সমাজের সবস্তরের নারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে যাতে আগামী দিনে সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা যেতে পারে।”