বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শান্তি নোবেলজয়ী (Nobel laureate) বাঙালি অর্থনীতিবিদের জেল। দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মহম্মদ ইউনুসকে (Muhammad Yunus) দোষী সাব্যস্ত করল বাংলাদেশের (Bangladesh) আদালত। জানা গিয়েছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহম্মদ ইউনুসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি জরিমানা হিসেবে ৩০ হাজার টাকাও দিতে হচ্ছে তাকে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সমাজকর্মী তথা একমাত্র নোবেলজয়ী ৮৩ বছর বয়সী মুহম্মদ ইউনুস গ্রামীণ টেলিকম নামে এক টেলিকম সংস্থার চেয়ারম্যান। দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তার এই সংস্থা সম্পর্কিত। নোবেলজয়ীর সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে কাজ চালানোর মামলা চলছিল। সেই মামলাতেই সোমবার, ১ জানুয়ারি ঢাকার এক শ্রম আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
সূত্রের খবর, কেবলমাত্র ইউনূসই নন, পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের প্রাক্তন কর্মী আশরাফুল হাসান, নূরজাহান বেগম এবং মহম্মদ শাহজাহানকেও এই মামলায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আদালতের এই রায়ের পরই আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। নোবেলজয়ীর অনুগামীদের কথায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের জেরেই তার এই সাজা হয়েছে।
তবে গতকাল ৫০০০ টাকার বন্ডে আদালত ৩০ দিনের মধ্যে মুহম্মদ ইউনুসকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার অনুমতি দিয়েছে। ফলে এখনই জেলে যেতে হবে না নোবেলজয়ীকে। তার সংস্থার চার কর্মীও জামিন পেয়ে যান। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে মহম্মদ ইউনূস সহ তার সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মামলাটিতে অভিযোগ আনা হয় যে শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, সংস্থার কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও ১০১ জন কর্মীর চাকরিও স্থায়ী করেনি তারা। শুধু তাই নয়, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষণের যে নিয়ম তাও লঙ্ঘন করেছে ওই সংস্থা। এছাড়াও আরও একাধিক অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
গতকালের এই রায়ের পর নোবেলজয়ী বলেন, যে-দোষ করিনি, সেই দোষের জন্যই শাস্তি দেওয়া হল। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল, আমরা সেটা বহন করলাম!