বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশের ঢাকায় ভেঙে পড়ল বিমান। সোমবার দুপুরে আচমকাই উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ছাদে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭। এর মধ্যে ২৫ জনই শিশু। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৭৮ জন। মর্যাদা বিমান দুর্ঘটনায় এবার মুখ পুড়ল চিনের (China)।
বাংলাদেশ (Bangladesh) বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ে স্কুলের মধ্যে
জানা গিয়েছে, টেকঅফের ১২ মিনিটের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এফটি-৭ বিজিআই বিমানটি। বাংলাদেশ (Bangladesh) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর একটার কিছুক্ষণ পরেই ঢাকার কুর্মিটোলার বায়ুসেনা বিমানঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে টেকঅফ করে বায়ুসেনার এই প্রশিক্ষণ বিমান। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই সোজা স্কুলের ছাদে গিয়ে গোঁত্তা খায় বিমানটি।
চিনা বিমানেই দুর্ঘটনা: বাংলাদেশ (Bangladesh) বায়ুসেনা জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটি চিন থেকে আমদানি করা। বাংলাদেশের বায়ুসেনা ঠিক কোন সাল থেকে এটি ব্যবহার করছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য এখনও মেলেনি। তবে জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার প্রশিক্ষণরত পাইলটরাই শুধুমাত্র ব্যবহার করত বিমানটি। বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সম্ভবত ২০১৩ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন সরকার এই এফটি-৭ বিজিআই বিমানটি কেনে চিনের থেকে।
আরও পড়ুন : আতঙ্কের নাম টমেটো! হু হু করে ছড়াচ্ছে ডায়ারিয়া, জারি হল সতর্কতা
কী কারণে দুর্ঘটনা: জানা যাচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার মূল কারণ। সেই কারণেই আকাশে ভেসে থাকতে পারেনি বিমানটি। রিপোর্ট বলছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ এর প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান। মাত্র একটিই ইঞ্জিন রয়েছে বিমানটিতে। তৈরির বাজেটও স্বল্প।
আরও পড়ুন : ‘কার চাপে এখনও রাজনীতি করছে?’ মমতার ‘গুড বয়’ দেবকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
১৯৬৭ সালে এই বিমানের উৎপাদন শুরু করে চিন। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়েছিল এফ ৭ সংষ্করণের এই বিমানগুলি। বর্তমানে ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেটে বলীয়ান চিন ২০১৩ সালেই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এই বিমানগুলির। অথচ বাংলাদেশের বিমানবাহিনীতে এফ ৭ সংষ্করণের এই বিমান এখনও ১২০ টি রয়েছে বলে খবর।