বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশ (Bangladesh) এক সময় পূর্ব পাকিস্তান (Pakistan) হিসেবে পরিচিতি পেত। পাকিস্তান জোর করে ওই দেশ দখল করে রেখেছিল। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলন। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে ভারতীয় সেনা বাংলাদেশে ঢুকে পাকিস্তানি সেনাকে তাড়িয়েছিল। ভারতের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। বাংলাদেশ এখন স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তান এবার ভারতকে চাপে রাখতে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে হাত মেলাতে চাইছে। পাকিস্তানি মিডিয়ায় এখন বাংলাদেশ-পাকিস্তান এর সম্পর্ক নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশের সামনে ডাল গলেনি পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) বুধবার বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুজনের কথাবার্তায় শেখ হাসিনার তরফ থেকে কোন উৎসাহজনক আর যথার্থ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। ইমরান খান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে কাশ্মীর আর সার্ক ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই নিয়ে কোন লাভই হয়নি বলে জানা যায়।
পাকিস্তান সরকার আর বাংলাদেশের সরকার এই কথাবার্তার পর আলাদা আলাদা বয়ান জারি করেছে। দুই দেশের বয়ান দুইরকম। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রালয়ের বয়ানে বলা হয়েছে যে, ইমরান খান কাশ্মীরের সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন আর সমস্যাকে শীঘ্রই সমাধান করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ সরকারের বয়ানে কাশ্মীর নিয়ে কোন কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
পাকিস্তান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর ইমরান খানের আলোচনা নিয়ে লম্বা চওড়া বয়ান জারি করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে মাত্র দুই প্যারার বয়ানই জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের বয়ানে বলা হয়েছে যে, ইমরান খান শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আরেকদিকে, বাংলাদেশের বয়ানে পাকিস্তানের এই আমন্ত্রণপত্র স্বীকার করা নিয়ে কোন বয়ান জারি করা হয়নি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রালয় বৃহস্পতিবার বয়ান জারি করে বাংলাদেশের প্রশংসা করে। বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের মধুর সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জম্মু কাশ্মীর আর এর সাথে জড়িত ঘটনাক্রমের সাথে বাংলাদেশের আগের মনভাবে কায়েম থাকার প্রশংসা করেই। বাংলাদেশ সবসময় কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে এসেছে। আর এখনও সেটাই বলছে।