বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকমাস আগে বাদুরিয়া থেকে গ্রেফতার হয়েছিল তানিয়া পারভিন নামের এক কলেজ ছাত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, সে লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগেই NIA তানিয়া পারভিনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আর এবার তানিয়ার পর বাংলার আরেক মহিলার নাম জড়াল জঙ্গি সংগঠনের সাথে। আর সে গ্রেফতারও হল। যদিও তাঁর গ্রেফতারি এ দেশে হয়নি, বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
হুগলীর বাসিন্দা আয়েশা জান্নাত মোহনাকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC)।তবে আয়েশার আরেকটি পরচিয় আছে। আর সেটি হল তাঁর আগের নাম। অতীতে তাঁকে সবাই প্রজ্ঞা দেবনাথ নামেই চিনত। কিন্তু সে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে আয়েশা হয়ে যায়। বছর ২৫ এর এই মহিলা জানিয়েছে যে, সে জামাত-উল-মুজাহিদ্দিনের (JMB) বাংলাদেশের শাখার সক্রিয় সদস্য। আয়েশাকে চারদিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে আদালত।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আয়েশা হগলির ধনেখালির বাসিন্দা। ১১ বছর আগে আয়েশা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম আপন করেছে। এরপর সে অনলাইনে ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়াও শুরু করে। এরপরই সেখান থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাতের মহিলা শাখার প্রধান আসমানি খাতুনের সাথে যোগাযোগ হয় তাঁর। সেখানে তাঁকে মহিলা মুজাহিদ্দিন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
২০১৬ থেকে ঘনঘন বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল আয়েশার। মাদ্রাসাতেও ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়া শুরু করেছিল সে। এমনকি জামাতের হয়ে টাকা তোলা এবং পাচার করার সাথেও যুক্ত হয়ে পড়ে সে। জেএমবি মহিলা শাখার প্রধান আসমানি খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই জেএমবিতে নতুন সদস্য নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব আয়েশার কাঁধে চাপে। এরপর থেকেই বাংলাদেশি পুলিশের নজরে চলে আসে আয়েশা।