বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সেই ২০০৭ ওডিআই বিশ্বকাপের অঘটনের পর থেকেই ভারত বনাম বাংলাদেশ বিশ্বকাপের ম্যাচ মানেই তাতে থাকবে নাটকীয় মোড়। যখনই এই দুই আইসিসি ইভেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে তখনই দুই দলের খেলার মধ্যে কিছু হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার চিত্র চোখে পড়েছে। অ্যাডিলেড ওভালে বুধবারের ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচটিও এই ধারার ব্যতিক্রম ছিল না। বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাল্টা লিটন দাসের নিখুঁত স্ট্রোক প্লে, একাধিক আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ম্যাচটিতে উত্তেজনার সব উপাদানই মজুত ছিল।
গত দশকে অন্যান্য ভারত-বাংলাদেশ বিশ্বকাপের ম্যাচের মতোই, কাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও নানান বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন যে ম্যাচটি ভাল মনোভাব নিয়ে খেলা হয়েছিল এবং বৃষ্টি বিরতির সময় তিনি একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনও বিদ্বেষ ছিল না। তারা সম্ভবত খেলা <span;>পুনরায় <span;>দ্রুত আরম্ভ হওয়া নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছিলেন। ভারী বৃষ্টির পর ম্যাচটি ২০ ওভারের পরিবর্তে ১৬ ওভারে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং বাংলাদেশকে ১৫১ রানের সংশোধিত লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল।
সাকিব স্থিরতা বজায় রাখলেও সেটি বজায় রাখেননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান। ডানহাতি এই ব্যাটার ‘ভেজা আউটফিল্ড’ সম্পর্কে তার হতাশা লুকানো কোনও চেষ্টা তো করেনইনি, তার ওপর তিনি আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের রান তাড়া করার সময় প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং নিয়ম অনুযায়ী সেই অভিযোগ সত্যি হলে বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত বল এবং পাঁচটি পেনাল্টি রান পেতো যা ম্যাচের ফলে পার্থক্য তৈরি করতে পারত।
বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ম্যাচের পর বলেন, “অবশ্যই মাঠ কিছুটা ভেজা ছিল এবং এটি খেলায় প্রভাব ফেলেছে এবং সবাই তা দেখেছে। তার পাশাপাশি আমি যা অনুভব করেছি তা হল সপ্তম ওভার চলাকালীন ভারত একবার ফেক ফিল্ডিং করেছিল এবং নিয়ম অনুযায়ী এটি পাঁচ রানের পেনাল্টি হতে পারতো। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সেটা হয়নি।”
Law 41.5.1 states: “It is unfair for any fielder wilfully to attempt, by word or action, to distract, deceive or obstruct either batsman after the striker has received the ball.”#T20WorldCup | #BANvIND pic.twitter.com/Ej8XRAqrHo
— KAZI TAJKIR HOSSEN (@TajkirHossen14) November 2, 2022
আইসিসি আইন ৪১.৫ অনুসারে “ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি, ব্যাটারদের সাথে প্রতারণা বা বাধার চেষ্টা করলে যদি আম্পায়াররা ফিল্ডিং পক্ষকে দোষী মনে করেন তবে পাঁচটি পেনাল্টি রান হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আম্পায়াররা তেমনটা মনে করেননি। সামনে আসা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় যে বিরাট কোহলি এমনই কিছু ভুল করেছেন। এবার সেটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে প্রভাব ফেলেছে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিয়ম অনুযায়ী হয়তো সত্যিই ৫ রান পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সময় তাদের শিবির থেকে কাউকে এই নিয়ে প্রতিবাদ জানাতেও দেখা যায়নি।