বাংলাদেশের হাজার হাজার যুবককে দেওয়া হবে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ! হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের?

Published on:

Published on:

Bangladesh youth will be trained to use weapons.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে কি এবার গড়ে উঠছে ইসলামিক মিলিশিয়া বাহিনী? এমনই আশঙ্কা ছড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলির কূটনৈতিক মহলে। খবর অনুযায়ী, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের যুব সম্প্রদায়কে অস্ত্র চালানো ও সামরিক কৌশলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, এটি দেশের “রিজার্ভ ফোর্স” শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ। তবে রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আড়ালে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি ইসলামিক মিলিশিয়া বাহিনী, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বা সামরিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

বাংলাদেশে (Bangladesh) হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের চালু হবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (BNCC)-এর মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৮,৮৫০ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের শেখানো হবে তাইকোন্ডো, জুডো, মার্শাল আর্ট এবং পাশাপাশি অগ্নেয়াস্ত্র চালানোর কৌশল। সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া কয়েকদিন আগে এক সামাজিক মাধ্যমে জানান, এই প্রশিক্ষণ দেশের যুব সমাজকে আরও “শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সক্ষম” করে তুলবে।

আরও পড়ুন:ওলা-উবের পাবে কড়া টক্কর! শুরু হতে চলেছে ভারতের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে— দেশের যুব সমাজকে হঠাৎ অস্ত্র হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন কেন? সরকারি যুক্তি, এই বাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও বিপর্যয় মোকাবিলায় সহায়ক হবে। কিন্তু সূত্র বলছে, বাস্তবে সাতটি বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর কিছু পাকিস্তানপন্থী অফিসার সরাসরি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এই তথ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারি ভবন ও থানাগুলিতে যেভাবে দাঙ্গা ও লুটপাট হয়েছিল, তাতে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই ধাঁচের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ যুব বাহিনী গড়ে তোলাই আসল লক্ষ্য হতে পারে। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি সিরিয়া ও ইরাকের মতো দেশগুলিতে বিদ্যমান ইসলামিক মিলিশিয়া মডেলের অনুসরণে গঠিত হতে পারে।

তবে ইউনূস সরকারের সমালোচকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ প্রকল্প কেবল “রিজার্ভ ফোর্স” তৈরির নামে মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা। বিশেষ করে জামাত ও হিজবুত তাহরিরের মতো সংগঠনগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা কিছু সেনা অফিসার এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বাংলাদেশের (Bangladesh) এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, একদিকে যেখানে মৌলবাদী শক্তি ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় মদতে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

Bangladesh youth will be trained to use weapons.

আরও পড়ুন:মোটা রিটার্নের লোভ! ভারতে “স্ক্যাম”-এর শিকার ৩০,০০০ মানুষ, খোয়ালেন ১,৫০০ কোটি টাকা

বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপকে অনেকে “নয়া রাজনৈতিক খেলা” বলেই ব্যাখ্যা করছেন। মহম্মদ ইউনূস নিজে শান্তির প্রতীক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হলেও, সমালোচকরা বলছেন— বাস্তবে তিনি এখন জামাত ও কট্টর ইসলামিক গোষ্ঠীর হাতে রাজনৈতিক পুতুলে পরিণত হয়েছেন। তাঁর সরকারের এই “যুব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” তাই শুধু দেশের নিরাপত্তা নয়, সমগ্র উপমহাদেশের জন্যই এক অশুভ বার্তা বয়ে আনছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।