বাংলাদেশি তকমা নিয়ে দল থেকে বিতাড়িত, শহিদ দিবসের সভায় ফের বিতর্কিত নেত্রী ‘লাভলি’!

Published on:

Published on:

Bangladeshi leader at Trinamool Congress's Martyrs' Day rally

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার অভিযোগে সদস্যপদ খুইয়েছেন বহু আগেই, নাম জড়িয়েছিল বিতর্কে, তবু থেমে থাকেননি। রশিদাবাদের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান লভলি খাতুন আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সভা উপলক্ষে তাঁকে দেখা গিয়েছে কলকাতার ধর্মতলায়। সম্প্রতি তার উপস্থিতির একটি ভিডিও ঘিরে ফের শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

বিতর্কের কেন্দ্রে আবার মালদহের তৃণমূল (Trinamool Congress)

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লভলি খাতুন এক সময় তৃণমূলের (Trinamool Congress) জনপ্রিয় মুখ ছিলেন। কিন্তু গত বছর অভিযোগ ওঠে তিনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই প্রমাণ মিলতেই তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যপদ খারিজ করে প্রশাসন। বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ শানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই লভলি খাতুনকেই দেখা গেল শহিদ দিবসের মিছিল ও মঞ্চ সংলগ্ন ভিড়ে।

সোমবার সকালে ধর্মতলায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভাস্থলের কাছেই এক জনসমুদ্রে মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েন লভলি খাতুন। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠেছে, যাঁকে একবার নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত জটিলতায় দল থেকে কার্যত সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনিই আবার দলের শহিদ দিবসে কেন?

তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ঘটনা

দলের ভিতর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, যাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি পরিচয়ের অভিযোগ প্রমাণিত, তিনি কীভাবে শহিদ দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক জমায়েতে উপস্থিত হন? দল এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলকে (Trinamool Congress) অস্বস্তিতে ফেলতে এই ভিডিও যথেষ্ট।

Bangladeshi leader at Trinamool Congress's Martyrs' Day rally

আরও পড়ুনঃ দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে মিছিল থেকেই উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান, সভা শুরুর আগে হইহই কান্ড তৃণমূলের অন্দরে

ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছে, ‘‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আগলে রাখে তৃণমূল। আবারও প্রমাণ হল।” প্রশাসনের কাছে তারা তদন্ত ও আইনানুগ পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। লভলি খাতুনের এই উপস্থিতি শুধু দল নয়, শহিদ দিবসের রাজনীতিতেও বড় বিতর্ক তৈরি করল।