ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী ‘শ্রমিক’

Published on:

Published on:

Bangladeshi man caught at Kolkata airport for illegal immigration using fake Indian passport

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা বিমানবন্দরে ফের ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি নাগরিক। সূত্রের খবর, ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্টে জার্মানিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। ইমিগ্রেশন (Illegal Immigration) চেকিংয়ে ধরা পড়তেই সামনে আসে তাঁর আসল পরিচয়। পুলিশের জেরায় জানা যায়, তাঁর কাছে একই সঙ্গে ভারতের এবং বাংলাদেশের দুটো পাসপোর্ট ছিল, তাও আবার দুই ভিন্ন নামে।

দুই ভিন্ন নামে দুই দেশের দুটো পাসপোর্টে, আরও এক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর (Illegal Immigration) পর্দা ফাঁস

বিমান ধরার আগে রুটিনমাফিক ইমিগ্রেশন দফতরের আধিকারিকেরা প্রশ্ন করতে গিয়ে সন্দেহে পড়েন। দেখা যায়, ওই ব্যক্তির কাছে ভারতের পাসপোর্টে নাম লেখা ‘পরেশ রায়’, আর বাংলাদেশের পাসপোর্টে নাম ‘শ্রমিক বড়ুয়া’ (Illegal Immigration)।

একই ব্যক্তির নামে দুই দেশের আলাদা পাসপোর্ট দেখে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে। ঠিক মতো উত্তর দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। আজ তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই কলকাতা থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক বাংলাদেশি যুবক একইভাবে ধরা পড়েন। পরিচয় প্রকাশ্যে আসতে বিমানবন্দরের কাঁচ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ ধরে ফেলে তাকে। তারও আগে, ২৮ জুলাই দুই যুবক, চয়ন বড়ুয়া ও বাবলা বড়ুয়া ভুয়ো পাসপোর্টে ভিয়েতনাম যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা আগে পর্যটক ভিসায় ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে মহারাষ্ট্রে গিয়ে নাম বদলে জাল নথি বানিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল (Illegal Immigration)।

Bangladeshi man caught at Kolkata airport for illegal immigration using fake Indian passport

আরও পড়ুনঃ ‘মেরুদণ্ডহীন সিবিআই’, দিল্লি থেকে ফিরে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা, শাহ কে নিয়ে কি বললেন?

বারবার এই ধরনের ঘটনায় (Illegal Immigration) প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশি নাগরিকরা বারবার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ইমিগ্রেশন দফতরের সতর্কতায় তাঁরা ধরা পড়লেও, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত সহজে জাল পাসপোর্ট ও নথি তৈরি হচ্ছে? ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আটকাতে আরও কড়া নজরদারি দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।