বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতা সেদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে রীতিমতো চাপে রাখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার আফগানিস্তানের তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসায় ফের একবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে বাংলাদেশের জঙ্গির মনোভাবাপন্ন যুবকরা। শুধু দেশেই নয়, দেশ ছেড়ে আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানের দলে নাম লেখাতে এখন রীতিমত আগ্রহী তারা। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে সে দেশের পুলিশ।
খবর অনুযায়ী ভারতের মধ্যে দিয়েই পালানোর পথ করে নিচ্ছে এ ধরনের যুবকরা। আর সেই সূত্র ধরেই বেশ কিছু যুবক ধরা পড়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তাদের উদ্দেশ্য যে আফগানিস্তান এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “প্রচার করা হচ্ছে, তালিবানই এখন বিশ্বের সব চেয়ে ক্ষমতাশালী বাহিনী। একটানা ২০ বছর যুদ্ধের পরে প্রতাপশালী আমেরিকান সেনা বাহিনীকে তাড়িয়ে আফগানিস্তানকে স্বাধীন করেছে তালিবান। এই সব প্রচারে উল্লসিত হয়ে বাংলাদেশের জঙ্গি মনোভাবাপন্ন তরুণেরা তালিবান বাহিনীতে নাম লেখানোটাকেই ‘জেহাদের পথ’ বলে মনে করছে।”
তার দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের জঙ্গী সংগঠন বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি বাংলাদেশী জঙ্গিদের দাঁত নখ ভেঙে দিতে সাহায্য করেছে। যার ফলে এখন রীতিমতো দুর্বল হুজি, জেএমবি, আনসার-আল-ইসলাম-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। একটা সময় নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তান থেকে আগত জঙ্গী মনোভাবাপন্ন নাগরিকরাই এ ধরনের সংগঠনগুলিকে গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এখন তাদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। আফগানিস্তানের তালিবান শক্তি ক্ষমতায় ফেরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠছে এদেশের যুবকরা। যদিও তালিবান গোষ্ঠীতে বিদেশি নাগরিক তেমন নেই বলেই জানা যায়। কিন্তু একটা সময় যেমন আল-কায়েদার জন্য বাংলাদেশ প্রভৃতি অঞ্চল থেকে অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষিত করে যুবকদের পাঠানো হতো, তেমনই এখনও ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
শফিকুলের দাবি এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শুধু যে বাংলাদেশ সমস্যায় পড়বে তাই নয়, সমস্যায় পড়বে ভারতও। তিনি এও জানান পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও আগের মতোই আবারও চাইবে এদেরকে সংগঠিত করতে। তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ঢেউ উপমহাদেশের দেশগুলি-সহ অনেক দেশেই লাগবে। সবাইকে সম্মিলিত ভাবে তাকে প্রতিহত করতে হবে।”