বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুই প্রেমিকাকে নিয়ে কোন্দলের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসে। এক ফুলকে নিয়ে দুই মালির মধ্যে চুলোচুলির ঘটনাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাবলে একসঙ্গ দুই প্রেমিকাকে বিয়ে? চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে। একই সঙ্গে দুই প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে এলাকায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন পঞ্চগড়ের অটোয়ারি উপজেলার বলরামপুর লক্ষীদ্বার গ্রামের বাসিন্দা রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি। এহেন বিয়ে নিয়ে তিন পরিবারের কারওই কোনটা সমস্যা নিয়েই বলেই জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বছর কুড়ির ইতি রানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রনির। গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। পুরো ব্যাপারটাই গোপন ছিল এতদিন। কিন্তু এরই মধ্যে রনি মমতা রানি নামের এর এক তরুণীর প্রেমে পড়েন। এই নতুন প্রেমিকার সঙ্গে রাত দুপুরে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান দুজনে। আর তার থেকেই যত কাণ্ড৷
গত ১৩ এপ্রিল মমতা ও রনির বিয়ের আয়োজন করা হয়। এই খবর কানে যায় ইতি রানির। স্বামীর বাড়ির সামনে এসে অনশন শুরু করেন তিনি। সেই পরিস্থিতিতে সহজতম সমাধানই বাছে তিন পরিবার। দুই প্রেমিকার সঙ্গেই একই মণ্ডপে বিয়ে দেওয়া হয় এক বরের।
বরের বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমাদের এই বিয়েতে কোনও অসুবিধা ছিল না। আমরা দুই বউকেই ঘরে তুলেছি। যেহেতু আগের বিয়ের ব্যাপারটা জানা ছিল না, সেই কারণে আবার নতুন করে ছেলের বিয়ের আয়োজন করি আমি।’ ইতি রানির বাবা গিরিশচন্দ্রের কথায়, ‘আমাদেরও কোনও সমস্যা ছিল না এই বিয়েতে। রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনির বাড়িতেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দুই কনের সঙ্গে রনির বিয়ে হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৩ পরিবারের লোকজনই ছিলেন।’ এহেন ঘটনার জেরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুরো বিষয় দেখে চোখ কপালে এলাকাবাসীর। যদিও মধুরেণ সমাপয়েৎ বোধ হয় একেই বলে।