বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাণিজ্যিক নগরী মিলানোর মালপেনসা বিমানবন্দরে বুধবার স্থানীয় সময় পৌনে ১টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান অবতরণ করে। জানা গিয়েছে ইতালিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) দূতাবাস সূত্রে। সেখানে ৪৩ জন বাংলাদেশের নাগরিক যাত্রী ছিল। কিন্তু তাদের নামার অনুমতি দেয়নি ইতালির বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই যাত্রীদের নিয়ে দোহারের উদ্দেশে বিমানবন্দর ছাড়ে ওই বিমানটি।
দুটি পৃথক ফ্লাইটে ইতালি থেকে ১৬৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে ইতালির একাধিক সংবাদমাধ্যম।
তবে মালপেনসা বিমানবন্দর থেকে ৪০ জন বাংলাদেশি যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এদিকে দুপুর ১টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের আরেকটি ফ্লাইট ১৪০ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে ইতালির রোমে ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বার সেই বাংলাদেশিদের বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করেছে ইতালির জনগণ। ইতালির প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, শরীরে সংক্রমণ নিয়ে ইতালিতে চলে এসেছে বহু বাংলাদেশি। টাকা দিয়ে দেশ থেকে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জোগাড় করে নিয়ে আসছে তাঁরা। তাদের শরীর থেকে ইতালিতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ১২৫ জন বাংলাদেশিকে ইতালিতে নামতেই দেওয়া হয়নি।
তাদের মধ্যে ১৫ জনকে নামার অনুমতি দিলেও বাকি ১২৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৮ টার একটু আগে একই বিমানে ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তারা।
জানা গিয়েছে, যে ১৫ জনকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি বংশদ্ভেূাত ইতালির নাগরিক। অন্যজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়নি। তবে বাকি বাংলাদেশি যাত্রীদের ফেরত পাঠানোর কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যগত সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।