বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ঘোষণা হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। বসিরহাটের স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের। কেউ পাঁচ বছর, কেউ দশ বছর ধরে ভারতে ছিলেন। এখন ফেরার পথ ধরছেন তাঁরা (Bangladeshis Returning)। এত বাংলাদেশী একসাথে ফিরে যাওয়ার জেরে সীমান্তে চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
হাকিমপুর চেকপোস্ট থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশি ফিরে যাচ্ছেন (Bangladeshis Returning)
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বসিরহাটের হাকিমপুর সীমান্তে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন (Bangladeshis Returning)। স্থানীয়দের মতে, যারা বিভিন্ন কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে বসবাস করছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন সপরিবারে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই ভিড়ের মধ্যেই আছেন নিউটাউনের বাসিন্দা সেলিম সর্দার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন কলকাতায় থাকলেও SIR কার্যকর হতেই পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ABP আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলিম বলেন, “এখন থাকতে দিচ্ছে না, তাই চলে যেতে হচ্ছে। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নথি থাকতে হবে, আর কিছু বৈধ নথি থাকতে হবে। সেগুলো তো অনেক পুরনো নথি, আমাদের কাছে নেই। সরকার যে আইন পাস করেছে, সেই অনুযায়ী আমরা থাকতে পারি না।”
সেলিম জানান, বাপ-দাদাদের পুরনো কাগজপত্র তাঁর কাছে নেই। ডুপ্লিকেট নথি করাতে গেলে ৫-১০ হাজার টাকা লাগে বলেও তিনি শুনেছেন। কিন্তু তিনি সেই পথে যাননি। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, “ফেঁসে যাব। দু’ বছর পরে হয়তো জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তার আগে বলছে বর্ডারে যাও, পার করে দেওয়া হবে। তাই ঘর-বাড়ি সব ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে চলে এসেছি।” তিনি আরও জানান, দালালের মাধ্যমে গেলে বেশি টাকা লাগত, আর ধরা পড়লে জেলেও যেতে হতে পারত। তাই পরিবার-সহ সরাসরি হাকিমপুর সীমান্তেই এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা (Bangladeshis Returning)।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা সেলিমের দাবি, তিনি ছোট থাকতেই তাঁর পরিবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিল। এখন আবার ফিরতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “এখানে ৩ দিন অপেক্ষা করছি। লাইন ধরে লোক পার করছে। যা কখনও খাইনি সেসব খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকার থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না। নিজেদের জিনিসপত্র দিয়েই চলছে।”

আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে সম্প্রীতির ডাক, SIR চলাকালীন ‘মেগা শো’ তৃণমূলের, থাকবেন মমতা-অভিষেক
বিএসএফকে ওপারের জন্ম সার্টিফিকেট বা কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওপারের নথিও তাঁদের কাছে নেই। তাই স্থানীয় চেয়ারম্যানের সই করা একটি প্রত্যয়নপত্রই এখন তাঁদের একমাত্র ভরসা। পরিবারের সকলকে নিয়েই ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন সেলিম (Bangladeshis Returning)।












