বাংলাহান্ট ডেস্ক: সঠিক সময়ে ঋণের সুদ না দিলে উপভোক্তাদের অনেক টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হয়। এর ফলে তাঁদের উপর অনেকটাই চাপ পড়ে। আপনার ব্যাঙ্কও কি একইরকম ভাবে শাস্তি হিসেবে অনেকটাই সুদ নিচ্ছে? এর জন্য কি আপনি বিরক্ত? তাহলে জানিয়ে রাখি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) আপনার জন্য দারুণ স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে উপভোক্তাদের।
শাস্তিমূলক সুদের হার হিসেবে অত্যধিক পরিমাণ অর্থ নেওয়ার কারণে ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই বিশাল পরিমাণ সুদের হারের বোঝা থেকে ঋণগ্রহীতাদের বাঁচাতে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে। এই নির্দেশিকার খসড়াপত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জরিমানা একটি নির্দিষ্ট ফি হিসেবে ধার্য করা উচিত, চক্রবৃদ্ধি সুদ হিসেবে নয়। এতে সাধারণ মানুষের পকেটে অত্যধিক চাপ পড়ে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলি ঋণগ্রহীতাদের উপর জরিমানা আরোপ করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেটির অপব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলি এই অধিকারকে নিজেদের রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। যা একেবারেই অনুচিত বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খসড়াপত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অনেক নিয়ন্ত্রিত সংস্থা পেনাল্টি সুদের হার নেয়।
এগুলি প্রযোজ্য সুদের হারের অতিরিক্ত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মূল সুদের হারের পাশাপাশি জরিমানার সুদের হারকে রাজস্ব বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তাদের এই পর্যালোচনাগুলি প্রকাশ করেছে। নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির মধ্যে শাস্তিমূলক সুদ ধার্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে৷ এতে উপভোক্তাদের অভিযোগ ও বিরোধের জন্ম দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ডিফল্টের জন্য পেনাল্টি সুদের হারের আকারে জরিমানা নেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণের সুদের হার পুনর্নির্ধারণের শর্তসহ সুদের হার নির্ধারণ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানগুলি সুদের হারের জন্য কোনও অতিরিক্ত উপাদান প্রবর্তন করবে না। আরও বলা হয়েছে, পেনাল্টি চার্জের কোন মূলধন থাকবে না অর্থাৎ এই ধরনের চার্জের উপর আর কোন সুদ নেওয়া হবে না। এখন পর্যন্ত ঋণগ্রহীতাদের জরিমানার টাকায়ও সুদ দিতে হচ্ছে।