বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে রয়েছে অখ্যাত এই গ্রাম, নাম ভরতপুর। বিলুপ্তপ্রায় ‘বাঁকুড়া পট’কে কেন্দ্র করেই আজও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনার ভরতপুর গ্রামের পট শিল্পীরা। এই গ্রামে ঢুকলেই দেখে মনে হবে, যেন একটি সুন্দর সাজানো রিসোর্টে চলে এসেছি।
বাঁকুড়ার (Bankura) এক প্রত্যন্ত গ্রামের সৌন্দর্য
আবার কটেজ গুলোর সামনে আঁকা রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পটচিত্র। এককথায় বলা যায়, ‘বাঁকুড়া পটের’ শিল্পীদের গ্রাম (Village) ভরতপুর (Bharatpur)। এখানে মোট ১৮ ঘর চিত্রকর পরিবার থাকলেও তাদের মধ্যে ছবি আঁকেন কেবল ৯ জন। একমাত্র ছবি আঁকার কাগজ ছাড়া, এঁরা নিজেদের রং, তুলি ও আঠা নিজেরাই তৈরি করে নেন।
শুশুনিয়ার পাহাড় সংলগ্ন এলাকা থেকেই খুঁজে খুঁজে পটশিল্পীরা বিভিন্ন রঙের পাথর জোগাড় করে আনেন। তারপরেই সেগুলিকে গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরণের রঙ। এছাড়াও রং তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান। আর সেইজন্যেই এদের আঁকা পটের রঙ বহুদিন টিকে যায়। কেমিক্যাল রঙের মত অত উজ্জ্বলতা না থাকলেও পটে রঙে রয়েছে চোখের আরাম।
আরোও পড়ুন : ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য ইউনূসের উপদেষ্টার! এবার কি ছক কষছে বাংলাদেশ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৫টি মডেল হাউস পটচিত্র শিল্পীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এক্কেবারে ছবির মত দেখতে এই মডেল হাউসগুলি। ব্যাকড্রপের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে দুর্দান্ত শুশুনিয়া। মনে হবে যেন পৌঁছে গিয়েছেন হিমালয়ের কোন প্রান্তে। আর শীতের মরশুমে ভরতপুর গ্রাম একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot) হিসেবে নজর কাড়ছে বছরের পর বছর ধরে।
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এই ভরতপুর গ্রামে পৌঁছবেন? বাঁকুড়া (Bankura) থেকে শুশুনিয়া পাহাড়ের দিকে যেতে প্রথমেই পড়বে ছাতনা। সেখান থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন বড় রাস্তার উপর নীল সাইন বোর্ডে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘চিত্রকর পট শিল্প, ভরতপুর’। এখান থেকে গিয়ে ডানদিকে ভরতপুর গ্রাম মাত্র ৪ কিমি।