নিমেষেই সারবে রোগ, শরীরে আসবে শক্তি! পুকুরে ডুব দিলেই ঘটবে মিরাকেল! জানেন কোথায় আছে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বেলবনি গ্রাম খুব একটা পরিচিত নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে এই গ্রামের এমন একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শুনলে অবাক হয়ে যেতে পারেন। বেলবনি গ্রাম অবস্থিত বাঁকুড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রোডের  উপর। এই গ্রামে একটি পুকুর রয়েছে যেটি এটিকে অন্যান্য গ্রামের থেকে একটু হলেও বিশেষভাবে পরিচিতি দিয়েছে।

বাঁকুড়ার (Bankura) অবিশ্বাস্য পুকুর (Pond)

বাঁকুড়ার (Bankura) বেলবনি গ্রামে অবস্থিত ঠাকুর পুকুর। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা নিজেদের রান্না ও পানের জন্য ব্যবহার করেন এই পুকুরের জল। বেলবনি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে টাইম কল। তবে গ্রামবাসীদের অধিকাংশ ব্যবহার করেন না সেই টাইম কলের জল। বালতি, গামলা, হাঁড়ি নিয়ে গ্রামবাসীরা উপস্থিত হন ঠাকুর পুকুরে। এই পুকুর থেকে জল তুলে নিয়ে যান তারা।

আরোও পড়ুন : স্টার জলসা থেকে জি বাংলা! আচমকাই বন্ধ সব বাংলা সিরিয়ালের শ্যুটিং! মাথায় হাত দর্শকদের

সেই জল দিয়েই করেন রান্নার কাজ। এই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এই রীতি চলে আসছে। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলবনি ছাড়াও সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারাও ব্যবহার করেন এই পুকুরের জল। গ্রামবাসীদের মতে, এই পুকুরের জল অত্যন্ত পবিত্র। এই জল দিয়ে রান্নার কাজ করে কখনো কারোর শরীর খারাপ হয়নি। এমনকি নিশ্চিন্তে এই পুকুরের জল পান করা যায়।

IMG 20240729 150657

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ঠাকুর পুকুরের জলে খুব ভালো রান্না হয়। এই পুকুরের জলের ফলে কেউ কখনো অসুস্থ হননি। তবে এই পুকুরে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কাপড় কাচা, বাসন মাজা কিংবা স্নান করা। এই গ্রামের এক বাসিন্দার কথায়, কাউকে নামতে দেওয়া হয় না এই পুকুরে। আমরা এই পুকুরের জল পান করি। দিল্লি বা মুম্বাই থেকে যখন কোনো বাসিন্দা গ্রামে আসেন তখন এই পুকুরের জল নিয়ে যান তারা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর