বাংলা হান্ট ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হচ্ছে বৃষ্টি। আর এমন অবস্থায় পাহাড়ে যেতে কার না মন চায় বলুন। তবে ছুটি পাচ্ছেন না আপনি। মাত্র দু’দিনের ছুটিতে আপনাদের আজ দারুন এক জায়গায় খোঁজ দেব। সপ্তাহের শেষে পরিবার, প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়ার (Bankura) কোড়ো পাহাড়ে। বাঁকুড়া জেলার এক লুকোনো স্পটও বলা যায় কোড়ো পাহাড়কে। অনেকে একে চেনেন তপোবন নামে। সবুজে ঢাকা কোড়ো পাহাড় বর্ষায় আরও সতেজ হয়ে ওঠে। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শালি নদীও প্রাণ ফিরে পায় বৃষ্টির জলে। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতেই আসতে পারেন কোড়ো পাহাড়ে।
সবুজে ঢাকা কোড়ো পাহাড় বর্ষায় আরও সতেজ হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার কোড়ো পাহাড় (Bankura)
বাঁকুড়ার জঙ্গলের পথ ধরে ওঠা যায় এই পাহাড়। এখানে রয়েছে অষ্টভূজা পার্বতীর মন্দির। এখানে স্থানীয়দের আনাগোনাই সবচেয়ে বেশি। আর এই পাহাড়ের উপর থেকেই বাঁকুড়ার এক অন্যরূপ দেখা যায়। প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো, বর্ষা উপভোগ করার শ্রেষ্ঠ জায়গা কোড়ো পাহাড়। যদিও অনেকে শীতকালে এখানে পিকনিক করতে আসেন। এখানে আসলে মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরে রয়েছে শুশুনিয়া পাহাড়। মূলত শুশুনিয়া বেড়াতে গেলে অনেকেই ঘুরতে আসেন কোড়ো পাহাড়ে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ফের ঝড়-বৃষ্টির তোলপাড়! মঙ্গলে কেমন থাকবে আবহাওয়া? আগাম আপডেট
কী ভাবে আসবেন ও কোথায় থাকবেন?
শিয়ালদা অথবা হাওড়া থেকে বাঁকুড়াগামী ট্রেনে উঠে বাঁকুড়ায় নামতে হবে। এরপর বাঁকুড়া (Bankura) শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম ও কোড়ো পাহাড়। এখানে শীতকালে বেশি মানুষ আসে। তবে বর্ষার সময় আসলে আপনি দেখতে পারবেন কোড়ো পাহাড়ের এক মনোরম দৃশ্য। এবার আপনি যদি চান ট্রেন বাদে সড়কপথে আসবেন তাও আসতে পারেন। কলকাতা থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়ক ধরেও চলে আসতে পারেন এখানে। পাশাপাশি বাঁকুড়া শহর কিংবা শুশুনিয়ায় রাত কাটাতে পারেন। আর এখানে থাকতে হলে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল। এখানে আসার আগে একবার হোটেল বুক করে আসবেন। তাহলে থাকার বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে না।